দুবাইয়ের মরুভূমিতে ‘সোলার পার্ক’ মহা-প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে ২০৩০ সালে

রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ | ৬:৫৯ অপরাহ্ণ

দুবাইয়ের মরুভূমিতে ‘সোলার পার্ক’ মহা-প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে ২০৩০ সালে
apps

সাড়ে ১৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ করে দুবাইয়ের তপ্তরৌদকে কাজে লাগিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে এক বিশালাকৃতির সোলার পার্ক। আর সেই পার্কটি তৈরি করছে এক নতুন রেকর্ড। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুবাইয়ের প্রত্যন্ত মরুভূমি এলাকায় আরব আমিরাতের উপ-রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের নামে গড়ে তোলা হচ্ছে একটি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প। গত আট বছর ধরে গড়ে তোলা হচ্ছে সেই পার্কটি।

স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যায়, গভীর মরুভূমিতে মাইলের পর মাইল চমৎকার করে বসানো হয়েছে সৌরবিদ্যুতের ফটোভোলটিক। দুবাইয়ের বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বিভাগ সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছে, ১৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার খরচের এই প্রকল্পটি শেষ হলে সেখান থেকে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। সেই বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যাবে ১৩ লাখ বাড়িতে। এছাড়াও, তা বছরে সাড়ে ৬ মিলিয়ন টন কার্বন নিঃসরণ কমাবে।
২০১২ সালে পার্কটির তৈরির ঘোষণা দেওয়া হয়। সেসময় বলা হয়েছিলো, ২০৩০ সালের মধ্যে এই মহা-প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে। অর্থাৎ, জগৎখ্যাত বুর্জ খলিফার চেয়ে তিনগুণ বেশি সময় লাগবে এই পার্কটি তৈরি করতে। কিন্তু, বাস্তবে দেখা গেলো এই তিন ধাপের প্রকল্পের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের কাজ শেষ হয়েছে। বসানো হয়েছে ২৩ লাখ ফটোভোল্টিক প্যানেল। এখন সেখানে ২১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, তৃতীয় ধাপে ৩০ লাখের বেশি ফটোভল্টিক প্যানেল বসানো হবে। তখন পাওয়া যাবে আরও ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এই প্রকল্পের কাজ ২০২০ সালেই শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে তারা এখন প্রকল্পটির চতুর্থ ধাপ নিয়ে চিন্তা করছেন।

১,৯৬৩ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন চার ধাপের মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম সোলার পার্ক প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে তা হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প। তবে ভারতের লাদাখ সোলার ফার্ম ২০২৩ সালে উৎপাদনে এলে সেখান থেকে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়ার কথা রয়েছে।
তবে ১,৫৪৭ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন চীনের নিংশিয়ার টেনগার মরুভূমির সেলার পার্কটি বিশ্বের অন্যতম বড় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, দুবাই ক্লিন এনার্জি স্ট্র্যাটেজি ২০৫০ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে রাজ্যটির ২৫ শতাংশ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে ৭৫ শতাংশ নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের চেষ্টা চলছে।

Development by: webnewsdesign.com