বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ব্যাচ ডে উদযাপন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০১৮-১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৩ তম ব্যাচ ‘সঞ্জীবনী-৩৩’ এর আয়োজন করে। একইসাথে শিক্ষার্থীদের অভিষেক অনুষ্ঠান করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে আনন্দ-উল্লাস করে দিনটি উদযাপন করে তারা। এই উদযাপনের অংশ হিসেবে র্যাগ ডে এর আদলে শিক্ষার্থীরা একে অপরের টি-শার্টে নানা মন্তব্য লিখেছে। এসব মন্তব্যের বেশীরভাগই ছিল কুরুচিপূর্ণ ও অপ্রীতিকর। শিক্ষার্থীদের গায়ের সাদা টি-শার্টে রঙিন কালিতে লেখা হয়েছে এসব অশালীন মন্তব্য।
এসব কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য দেখে বিব্রত হয়েছেন শিক্ষক অভিভাবক ও সিনিয়র ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। অনেক ছেলে তার মেয়ে বন্ধুর টি-শার্টে এবং অনেক মেয়েরা ছেলেদের টি-শার্টে এসব মন্তব্য লিখতে দেখা যায়।
কয়েকজন শিক্ষার্থীর টি-শার্টে লেখা মন্তব্যে দেখা যায় সেখানে মাগীবাজ, সাইজ কত?, *দন বাজ, মাগীখোর, মালখোর, গাজা খোর, প্রেগনেন্ট, সে* বয়, ব্যর্থ মেয়ে পাগল, হো* খাড়া, *দির বোন, ফেইসবুকে মাগিদের জ্বালায় বাঁচি না, সে* গালফ্রেন্ড চাই, ভাবীর দর্শন চাই, এই মা*র দু* মোটা, পু*কী, এই ছেলে দু* খাবি, নষ্ট ছেলে বাবা খোর, বোকা চো*, ডার্লিং লেপের ত* আসো ক*, পু** চাটা বন্ধ কর, বা* পাকনা, তুই একটা মাল এইধরনের কুরুচিপূর্ণ ও অপ্রীতিকর ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের পোশাকে এসব লেখা ও তাদের আচরণে সমালোচনা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা সন্তানের এসব কর্মকান্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেক সচেতন অভিভাবক।
ইতিহাস বিভাগের মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে যদি এমন কুরুচিপূর্ণ ও অশালীন শব্দের ব্যবহার করে তাহলে তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কি শিক্ষা পাচ্ছে তা প্রশ্নবিদ্ধ।’
ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে এসে যদি কেউ এমন বাজে ভাষা ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে, এসব কথা শিখে যায় তবে ভবিষ্যতে তারা তাদের নিজেদের, পারিবারিক, সামাজিক ও দেশের উন্নয়ন ঘটাতে ব্যর্থ হবে এবং তাদের মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ সমাজ গঠিত হবে যা বাঙালি সংস্কৃতিকে ধ্বংস করবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনিয়র শিক্ষক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি প্রগতিশীলতার চর্চা করবে। তার মানে এই নয় যে তারা নোংরামী বা অশ্লীলতায় নিজেদের গা ভাসিয়ে দেবে। এমন কিছু করবে যা অন্যদের জন্য বিব্রতকর ও সমাজের চোখে অশালীন।’
Development by: webnewsdesign.com