রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় বাকপ্রতিবন্ধী (২০) এক তরুণীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় দুই কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন ইউপি সদস্যের ছেলে। আরেকজন তার বন্ধু।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার লালইচ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই তরুণীর মায়ের দায়ের করা মামলায় দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
এছাড়া স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঘটনার শিকার তরুণীকে নেয়া হয়েছে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি)।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বাক্প্রতিবন্ধী তরুণীকে বাবার বাড়িতে রেখে মা দুই বছর আগে বিদেশে গিয়েছিলেন। গত বছরের ৯ আগস্ট উপজেলার এক ইউপি সদস্যের ১৪ বছর বয়সী ছেলে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। ওই সময় ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখে।
গত ২৫ নভেম্বর ওই তরুণীর মা দেশে ফেরেন। এরপর বিষয়টি জানতে পারলেও সম্মানের কথা চিন্তা করে চেপে যান।
কিন্তু সম্প্রতি ধর্ষণের সেই ভিডিও এলাকায় মুঠোফোনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এতে পুরো ঘটনা জানাজানি হয়ে যায়।
সকালে ওই তরুণীর মায়ের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার করা হয় ধর্ষক ওই কিশোরকে। ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় একই এলাকার ১৬ বছরের আরেক কিশোরকে।
ওসি আরো বলেন, ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের কথা স্বীকার করেছে এক কিশোর। তার মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও পাওয়া গেছে। এছাড়া অপর কিশোরী সেই ভিডিও এলাকায় ছড়ানোর দায় স্বিকার করেছে। পরে এনিয়ে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান ওসি।
Development by: webnewsdesign.com