কিংবদন্তি চিত্রনায়িকা শাবানা ও তার স্বামী ওয়াহিদ সাদিকসহ গণসংযোগ শুরু করতে কেশবপুরে আসছেন।
মঙ্গলবার সকালে তারা কেশবপুর আসবেন।
তাদের আগমন উপলক্ষে কেশবপুরে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। চলছে মঞ্চ নির্মাণের কাজ। তারা বড়েঙ্গা গ্রাম থেকে গণসংযোগ শুরু করবেন।
এ ঘটনা কেশবপুরে চাউর হলে সব স্তরের মানুষের মাঝে ‘টক অব দ্যা কেশবপুরে’পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে কেশবপুরের এমপি সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীর মৃত্যুর পর কেশবপুরে চলছে নানা রাজনৈতিক সমীকরণ।
কে হবেন আগামীতে উপ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী, এই প্রশ্নে বিভক্ত হয়ে পড়েছে কেশবপুর শাখা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। এর মধ্যে শাবানার আগমন এলাকায় নতুন মাত্রা পেয়েছে।
ইতিপূর্বে যে কয়বার শাবানা কেশবপুরে এসেছেন তিনি কখনো জনসভা করেননি। এবার গণসংযোগের তাদের আগমনের জন্য বড়েঙ্গা গ্রামে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। প্রচার চলেছে এলাকায়।
শাবানার স্বামী ওয়াহিদ সাদিকের বাড়ি কেশবপুরের বড়েঙ্গা গ্রামে। প্রয়াত সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেকের স্বামী প্রয়াত শিক্ষামন্ত্রী এএসএইচকে সাদেকের বাড়িও কেশবপুরের বড়েঙ্গা গ্রামে। বড়েঙ্গা গ্রামের একই উঠানের দুই প্রান্তে দুইজনের শ্বশুরবাড়ি।
শাবানার নিকটজন সাবেক আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুল হালিমের বাড়িও একই উঠানের অপর প্রান্তে।
আবদুল হালিমের ছেলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল-নুর-আহসান বাচ্চু জানান, এবার শাবানা এবং তার স্বামীর কেশবপুর সফর নির্বাচনী গণসংযোগের অংশ। তিনি কেশবপুর থেকে নির্বাচনের আশা ব্যক্ত করছেন। কেশবপুরে আগামী সংসদ উপনির্বাচনে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করবেন। নির্বাচন করার প্রস্তুতি কথা জানাবেন।
পাঁজিয়ার গড়ভাঙ্গা গ্রামের আবদুল করিম বলেন, ‘কেশবপুরের জন্য একজন উদার সংসদ সদস্য চান কেশবপুরের মানুষ। তারা আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ কর্মী হলেও অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে এই সময়েও। শাবানা মনোনয়ন পেলে এবং জয়লাভ করলে সাধারণ জনগণ ভালো থাকবেন বলে তিনি দাবি করেন।’
কেশবপুর প্রেসক্লাব সংলগ্ন চায়ের দোকানে বসে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনার মূখ্য বিষয় ছিল শাবানার কেশবপুর সফরকে নিয়ে।
শাবানার স্বামী ওয়াহিদ সাদিক বলেন, ‘তারা নির্বাচনী গণসংযোগে আসছেন। তাদের মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সরকার প্রধানের সঙ্গে কথা হয়েছে। এরপর তারা কেশবপুরে আসছেন গণসংযোগে।
যশোর-৬ কেশবপুর সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক ২১ জানুয়ারি মারা যান। জাতীয় সংসদে ২৮ জানুয়ারি আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।
Development by: webnewsdesign.com