১৯৯১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সময়ে ৯ লাখ ২ হাজার ৪৮২ জন নারী কর্মী বিভিন্ন পেশায় বিদেশ গিয়েছেন : সংসদে প্রশ্ন উত্তর পর্বে মন্ত্রী

মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২০ | ৮:০১ অপরাহ্ণ

১৯৯১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সময়ে ৯ লাখ ২ হাজার ৪৮২ জন নারী কর্মী বিভিন্ন পেশায় বিদেশ গিয়েছেন : সংসদে প্রশ্ন উত্তর পর্বে মন্ত্রী
apps

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ জানিয়েছেন, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য অনুসারে ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সময়ে ৯ লাখ ২ হাজার ৪৮২ জন নারী কর্মী বিভিন্ন পেশায় বিদেশ গিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সাংসদ আবুল কালাম আজাদের প্রশ্নের জবাবে ইমরান আহমদ এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

ইমরান আহমদ বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার। গত ২৭ নভেম্বর জয়েন্ট টেকনিক্যাল কমিটির সভায় নারী শ্রমিকদের সুরক্ষার বিষয়ে সৌদি আরব সরকারের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। বিদেশগামী নারী কর্মীদের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া তদারকির মাধ্যমে অধিকতর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর ছয় সদস্য বিশিষ্ট ‘বিদেশগামী নারী কর্মী সুরক্ষা সেল’ গঠন করা হয়েছে।

বিএনপির সাংসদ জিএম সিরাজের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে এখন পর্যন্ত ১৭৩টি দেশে কর্মী পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবে কর্মী পাঠানোর সংখ্যা বাড়লেও মধ্যপ্রাচ্যের তিন দেশ কাতার, কুয়েত ও বাহরাইনে ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে কর্মী পাঠানো কমেছে।

মন্ত্রী জানান, গত বছর সৌদি আরবে ৩ লাখ ৯৯ হাজার কর্মী পাঠানো হয়েছে। ২০১৮ সালে পাঠানো হয়েছিল ২ লাখ ৫৭ হাজার ৩১৭ জন। কাতারে গত বছর ৫০ হাজার ২৯২ জন কর্মী পাঠানো হয়। ২০১৮ সালে কাতারে পাঠানো হয়েছিল ৭৬ হাজার ৫৬০ জনকে। ২০১৯ সালে কুয়েতে ১২ হাজার ২৯৯ জন কর্মী পাঠানো হয়। ২০১৮ সালে কুয়েতে পাঠানো হয়েছিল ২৭ হাজার ৬৩৭ জন কর্মীকে। বাহরাইনে গত বছর ১৩৩ জন কর্মী পাঠানো হয়েছে। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটিতে পাঠানো হয়েছিল ৮১১ জন কর্মী।

ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে গত বছর কর্মী পাঠানোর সংখ্যা ২০১৮ সালের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। গত বছর ওমানে ৭২ হাজার ৬৫৪ জনকে পাঠানো হয়। ২০১৮ সালে ওমানে গিয়েছিলেন ৭২ হাজার ৫০৪ জন। আর সংযুক্ত আরব আমিরাতে গত বছর ৩ হাজার ৩১৮ জনকে পাঠানো হয়। ২০১৮ সালে পাঠানো হয়েছিল ৩ হাজার ২৩৫ জনকে।

জাতীয় পার্টির সালমা ইসলামের প্রশ্নের জবাবে ইমরান আহমদ জানান, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সময়ে বেকার জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৬৬ লাখ ৩৩ হাজার ২৫৪ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী বৈদেশিক কর্মস্থান লাভ করেছে এবং ১৫৩ দশমিক ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।

বগুড়া-৫ আসনের সাংসদ হাবিবর রহমানের প্রশ্নের জবাবে ইমরান আহমদ বলেন, বিদেশে কর্মী পাঠানোয় প্রতারণা বন্ধ ও প্রতারণার শাস্তির বিধান রেখে ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন ২০১৩’ প্রণয়ন করা হয়। এতে বিদেশে শ্রমিক পাঠানোয় প্রতারণার জন্য দায়ী ব্যক্তিকে অনধিক ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং অন্তত এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান আছে। এই আইনে অপরাধের মাত্রাভেদে ১০ বছরের সাজার বিধান রয়েছে। বিদ্যমান আইনটি সংশোধনের কার্যক্রম চলমান আছে।

৮২ দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি

সংরক্ষিত আসনের মমতা হেনার প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট ১৫ হাজার ৪২১ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চীন, ভারত, সিঙ্গাপুর, উগান্ডাসহ ৮২টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি আছে। ঘাটতি মোকাবিলায় সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে নেপাল ছাড়া সার্কভুক্ত সব দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি আছে। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তানে মোট পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪০৮ দশমিক ২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ সময় এসব দেশ থেকে আমদানির পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ৩৯৬ দশমিক ৭২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ গত অর্থবছরে সার্কভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৬ হাজার ৯৮৮ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

Development by: webnewsdesign.com