১০ হাজার কি.মি. নৌপথ নাব্যতা রক্ষায় ড্রেজিং মাস্টার প্ল্যান:নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ৩:১৯ অপরাহ্ণ

১০ হাজার কি.মি. নৌপথ নাব্যতা রক্ষায় ড্রেজিং মাস্টার প্ল্যান:নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
apps

দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথের নাব্যতা রক্ষায় ড্রেজিং মাস্টার প্ল্যান করা হয়েছে। এর আওতায় ১৭৮টি নদী খনন করে প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ নাব্য করা হবে। জাতীয় সংসদকে এ তথ্য জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।সংসদের প্রশ্নোত্তরে ভোলা-৩ আসনের নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
যশোর-৩ আসরের কাজী নাবিল আহমেদের প্রশ্নের জবাবে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে অভ্যন্তরীণ নৌপথের দৈর্ঘ্য বর্ষাকালে প্রায় ২৪ হাজার কিলোমিটার। তবে শুষ্ক মৌসুমে এটি ৬ হাজার কিলোমিটারে কমে আসে।

নৌপথে নিরাপত্তায় সরকারের গ্রহণ করা নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনে নিরাপত্তা বিধান করায় দুর্ঘটনা বহুলাংশে কমানো সম্ভব হয়েছে। নৌযানগুলো বাধাহীনভাবে নিরাপত্তার সঙ্গে চলাচল করতে পারছে।চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ অর্থায়নে দুই দেশের নৌ-প্রটোকলভুক্ত ৪৭০ কিলোমিটার নৌপথের খনন কাজ শুরু হয়েছে।

এর আওতায় কালনি ও কুশিয়ারা নদীর আশুগঞ্জ-জকিগঞ্জ নৌপথের ২৮৫ কিলোমিটার এবং যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ-দৈখাওয়া নৌপথের ১৮৫ কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হবে।ঢাকা-২০ আসনের বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, অভ্যন্তরীণ রুটের জন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের ৩৯টি নৌযান নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ ও উপকূলীয় যাতায়াত ব্যবস্থা দ্রুত ও সহজতর করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক হভার ক্র্যাফ্ট সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলে সমুদ্রগামী ছয়টি বড় জাহাজ কেনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুটি ক্রুড অয়েল মাদার ট্যাঙ্কার, দুটি মাদার প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার ও কয়লা পরিবহন উপযোগী দুটি মাদার বাল্ক ক্যারিয়ার। এছাড়াও সমুদ্রগামী আরও ৪টি নতুন সেলুলার কন্টেইনার জাহাজ কেনার পরিকল্পনা রয়েছে।টাঙ্গাইল-৬ আসনের আহসানুল ইসলামের (টিটু) প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও রোগীদের মানসম্মত চিকিৎসা দিতে ‘স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইন ২০১৯‘ খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। শিগগিরই এটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে।

সংরক্ষিত আসনের গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকারের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে অটিস্টিক শিশুর সংখ্যা ৫০ হাজার ৫০০ জন।সংরক্ষিত আসনের খ. মমতা হেনা লাভলীর প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, তামাক সেবনজনিত রোগে দেশে বছরে ১২ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে তিন লাখ ৮২ হাজার মানুষ অকালে পঙ্গুত্বের শিকার হয়। তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর এক লাখ ৬২ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়।
২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে খসড়া রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।

এম আবদুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ ইউনিট স্থাপনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর ডিপিপি প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান আছে।

Development by: webnewsdesign.com