৩৬তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) নিয়োগ বঞ্চিত ৩৮ জনকে নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সরকারকে রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে তাদেরকে নিয়োগ দিতে বলা হয়েছে। বুধবার বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে করে এ রায় দেন। আদালতে রুলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়ায়েস আল হারুনী।
আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশ থাকার পরেও এই ৩৮ জনকে বাদ দিয়ে সরকার বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ দেয়। কিন্তু নিয়োগ বঞ্চিত হন তারা। পরে মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ নিয়োগ বঞ্চিত ৩৮ জন সুপারিশের তারিখ থেকে নিয়োগ চেয়ে গত বছর রিট করেন। রিটের শুনানিতে আদালত ওই বছরের ১৯শে ফেব্রুয়ারি রুল জারি করেন।
বুধবার ওই রুল যথাযথ ঘোষণা করে আদালত এই ৩৮ জনকে ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই থেকে জ্যেষ্ঠতাসহ নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়ায়েস আল হারুনী বলেন, বিসিএসে নিয়াগ বঞ্চিতদের নিয়ে দেয়া সব রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করবে।
এর আগে, ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশ থাকার পরও এই ৩৮ জনকে বাদ দিয়ে অন্যদেরকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ দিয়ে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। পরে মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ নিয়োগ বঞ্চিত ৩৮ জন নিয়োগ চেয়ে গত বছর রিট করেন। রিটের শুনানিতে আদালত ওই বছরের ১৯শে ফেব্রুয়ারি রুল জারি করেন। এর আগে গত ২৮শে জানুয়ারি ৩৪ ও ৩৫ তম বিসিএসর ২৭ জনের নিয়োগের বিষয়েও একই রায় দিয়েছিল একই বেঞ্চ। নিয়োগ বঞ্চিত ওই ২৭ জনের মধ্যে ৩৪তম বিসিএসের ছিলেন ১ জন। আর ৩৫তম বিসিএসের ছিলেন ২৬ জন। ৩৬ তম বিসিএসের নিয়োগ বঞ্চিত এই ৩৮ জনের মধ্যে পাঁচজনকে প্রশাসন ক্যাডারে, একজনকে পররাষ্ট্র ক্যাডারে, ২১ জনকে শিক্ষা ক্যাডারে, ছয়জনকে কৃষি ক্যাডারে, দুইজনকে স্বাস্থ্য ক্যাডারে, একজনকে তথ্য ক্যাডারে ও দুইজনকে পশু সম্পদ ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ ছিল পিএসসির।
Development by: webnewsdesign.com