হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে অপহরণের ২ মাস পর অপহৃতা মাদ্রাসা ছাত্রী (১৫) কে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ গোলচত্বর এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে চুনারুঘাট থানা পুলিশ।
অপরদিকে গত ৬ ফেব্রুয়ারী বিকেলে চুনারুঘাট থানার এস.আই মো: মলাই মিয়া গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়া অপহরণকারী ও ধর্ষণ মামলার আসামী অপু চন্দ্র পাল (২২) কে মৌলভীবাজার শহরের সেন্ট্রাল রোড থেকে গ্রেফতার করেন।
অপু চন্দ্র পাল (২২) মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মাইঝপাড়া গ্রামের বনমালী পালের ছেলে। শুক্রবার সকালে আসামী অপু চন্দ্র পালকে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ উবাহাটা গ্রামের জনৈক বাছির মিয়ার বাসার ভাড়াটিয়া সাইফুল ইসলামের স্ত্রী খাদিজা আক্তার গত ১৯ জানুয়ারী বিজ্ঞ আদালতে আসামী অপু চন্দ্র পাল ও নাজমা আক্তার আঁখি হ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামী করে একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জকে নিয়মিত মামলা রুজু করার আদেশ দিলে চুনারুঘাট থানায় মামলাটি রুজু হয় এবং মামলার তদন্তভার এস.আই মো: মলাই মিয়ার উপর অর্পণ করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বাদীনি খাদিজা আক্তারের বাসা থেকে আসামী নাজমা আক্তারের সহযোগিতায় আসামী অপু চন্দ্র পাল বাদীনির নাবালিকা মেয়ে তানিয়া আক্তার (মনি) (১৫) কে অপহরণ করে তাদের সাথে আনা সিএনজি যোগে শ্রীমঙ্গল নিয়া যায়।
পরবর্তীতে গত ০৪ ফেব্রুয়ারী ভিকটিমকে শায়েস্তাগঞ্জ গোলচত্বর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় এবং গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে চুনারুঘাট থানার এস.আই মলাই মিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ মৌলভীবাজার শহরে অভিযান চালিয়ে সেন্ট্রাল রোডে বনমালী জুয়েলার্স নামীয় দোকান থেকে অপহরণকারী অপু চন্দ্র পালকে গ্রেফতার করেন।
অপর পলাতক আসামী বাহুবল থানার পূর্ব জয়পুর গ্রামের এমরান মিয়ার স্ত্রী নাজমা আক্তার আঁখি। এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ নাজমুল হক আসামী গ্রেফতার ও ভিকটিম উদ্ধারের বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
Development by: webnewsdesign.com