বগুড়ার ধুনট উপজেলায় মাদকাসক্ত স্বামীর নির্যাতনে তানিয়া আকতার (১৮) নামে এক নববধূর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে স্বামীর ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত তানিয়া আকতার উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের বাটিকাবাড়ি গ্রামের তোজাম্মেল হকের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চালাপাড়া গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের ছেলে কামরুল ইসলামের সঙ্গে প্রায় ৬ মাস আগে বিয়ে হয় তানিয়ার। পেশায় মনোহরি ব্যবসায়ী কামরুল দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরণের মাদকদ্রব্য সেবন করেন। স্বামীর মাদক সেবনে বাধা দেন তানিয়া। বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি কামরুল। এ কারণে ব্যবসা শেষে রাতে বাড়ি ফিরে অকারণে স্ত্রীকে গালিগালাজ করতেন।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাতে মাদক সেবনের বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে কামরুলের নির্যাতনে তানিয়া মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এ সময় অবস্থা বেগতিক দেখে কামরুল তাকে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন। বৃহস্পতিবার ভোরে ঘুম থেকে উঠে কামরুল প্রচার করে তানিয়া গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনার পর কামরুল ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
নিহত তানিয়ার মামা আজগর আলী বলেন, বিয়ের পর জানতে পারি কামরুল মাদক সেবন করে। আমার ভাগ্নিকে সে অকারণে নির্যাতন করতো। বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় স্বামীর নির্যাতনে তানিয়া মারা যায়। এ হত্যাকাণ্ডকে আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য তানিয়ার গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে কামরুল। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ধুনট থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, স্বামীর ঘর থেকে নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যার অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Development by: webnewsdesign.com