মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে দর্শনার্থীদের প্রবেশে লাগবে গেটপাস কার্ড। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দর্শনার্থী নিয়ন্ত্রণে এবং চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়নে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে ।
মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. পার্থ সারথি দত্ত কাননগো বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে। তবে শীতকালে প্রতিদিন ৩টা থেকে ৫টা এবং বর্ষাকালে ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত এই সময়ে দর্শনার্থীরা পূর্বের মতো পাসকার্ড ছাড়াই প্রবেশ করতে পারবেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, একজন রোগীর জন্য দুইজন দর্শনার্থী কার্ড প্রতি ৫০ টাকা জামানত দিয়ে গেটপাস কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। হাসপাতাল থেকে বাহির হবার আগমুহুর্তে পাসকার্ড ফেরত দিয়ে দর্শনার্থী নিরাপত্তা জামানত ফেরৎ নিতে পারবেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘দেশের সব সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে মানসম্মত চিকিৎসা দেয়া সরকারের লক্ষ্য। নিরাপদ চিকিৎসার জন্য রোগীর সঙ্গে আসা দর্শনার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। কেননা, তাদের স্বাস্থ্যবিষয়ক অজ্ঞতা এবং রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ রোধে করণীয় বিষয়ে জ্ঞানের অভাবে অধিকাংশ সময়ই কাঙ্খিত পরিবেশ বা পরিস্থিতির অবনতি হয়। এ অবস্থায় দেশের সব সরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে নির্দেশক্রমে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
’ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রত্যেক হাসপাতালে দর্শনার্থী পাস চালু করতে হবে এবং প্রতিটি পাসের জন্য নিরাপত্তা জামানত চালু করা যেতে পারে। রোগীর অসুস্থতা বিবেচনায় একজন রোগীকে সহায়তা করার জন্য সর্বোচ্চ দুজন দর্শনার্থীকে পাস দেয়া যেতে পারে। হাসপাতাল ত্যাগের আগেই পাস ফেরৎ দিয়ে দর্শনার্থী নিরাপত্তা জামানত ফেরৎ নিতে পারবেন।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, হাসপাতালের সব চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মচারীরা বৈধ পরিচয়পত্র দৃশ্যমানভাবে বহন করবেন। আগত দর্শনার্থীদের জন্য পাস ইস্যু করার সময় নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, পরিদর্শনের কারণ ইত্যাদি তথ্য-সংবলিত রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ করা যেতে পারে। দর্শনার্থী বিষয়ক নিয়মাবলি রোগী বা রোগীর সাহায্যকারীকে অবহিত করতে হবে। এছাড়া দর্শনার্থী বিষয়ক নিয়মাবলি সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমন জায়গায় রাখতে হবে।
মোঃ ইউসুফ আহমদ পাঠান বলেন,প্রায়ই দেখা যাচ্ছে যে, অনেক সময় একজন রোগীর সাথে ৭ থেকে ৮ জন পর্যন্ত রোগীর স্বজনরা রোগীর সঙ্গে থাকেন। এতে চিকিৎসা ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে তবে একজন বা দুইজন রোগীর স্বজন থাকলে চিকিৎসা ব্যবস্থা আরো ভালো হবে।
তবে হাসপাতালের ডিউটিরত নার্সদের রোগীর প্রতি আরো আন্তরিকতার প্রয়োজন যেমনটা রোগীর স্বজনরা করেন। সেটা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। আমার স্ত্রী হটাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে আমি দ্রুত তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি, কিন্তুু কর্তব্যরত নার্সদের কাছ থেকে তেমন কোনো আন্তরিকতা পাইনি ।
Development by: webnewsdesign.com