যশোর জেনারেল হাসপাতালের শিÿানবীশ (ইন্টার্ন) চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রেমের নাম করে ল’কলেজের ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ব্যর্থ হয়ে তাকে শারীরিক নির্যাতন করেছে।
এ ঘটনায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে ওই ছাত্রী অভিযোগ দেয়ায় বৃহস্পতিবার তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭দিন কর্মদিবসের মধ্যে হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
উত্থাপিত অভিযোগে জানা গেছে, সেন্টাল ল’ কলেজের ছাত্রীর বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। সেখানে ডা. তন্ময় কুমার বেড়াতে গেলে তাদের সাথে পরিচয় হয়। পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘদিন ধরে তাদের সম্পর্ক চলে আসছে। বিয়ের প্রতিশ্রæতিতে তারা দুইজন এক সঙ্গে বিভিন্ন এলাকা ঘুরেছেন। ১৮ জানুয়ারি ডা. তন্ময় যশোর থেকে ঢাকায় তার সাথে দেখা করতে যায়।
ঘোরাঘুরির একপর্যায়ে অজ্ঞাত এক স্থানে নিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু বাধা দেয়ার কারণে ডা. তন্ময় ক্ষিপ্ত তাকে শরীরিক নির্যাতন করে। পরে তাকে ফেলে যশোরে চলে আসেন। এরপর ওই ছাত্রী বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করলে ডা. তন্ময় তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়।
পরবর্তীতে ওই ছাত্রী যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক দিলীপ কুমার রায়ের নিকট ২৭ জানুয়ারি লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগটি আমলে নিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দিয়েছেন।
যশোর মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. অজয় কুমার সরকারকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটির সদস্য অন্য দুইজন হলেন, সহকারী অধ্যাপক ডা. ইমদাদুল হক রাজু ও হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আরিফ আহমেদ।
হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় জানান, ‘ল’ কলেজের ওই ছাত্রীর লিখিত অভিযোগটি আমলে নেয়া হয়েছে। ঘটনার সত্য মিথ্যা যাচাইয়ের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Development by: webnewsdesign.com