পাবনায় অজানা রোগে ২ বোনের মৃত্যু : এলাকায় করোনা আতঙ্ক

রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ৯:০৯ অপরাহ্ণ

পাবনায় অজানা রোগে ২ বোনের মৃত্যু : এলাকায় করোনা আতঙ্ক
apps

পাবনায় অজানা রোগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে আপন দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে বড় বোন সাথী খাতুন ও শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকালে ছোট বোন বিথী খাতুন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যায়। এ ঘটনায় এলাকায় করোনাভাইরাস আতঙ্ক বিরাজ করছে।

 

 

ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার ফরিদপুর উপজেলার হাদল ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে। নিহত দুই বোন ওই গ্রামের শহীদ প্রামানিকের মেয়ে। তারা যথাক্রমে অষ্টম ও চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিলো বলে জানা গেছে।

 

 

নিহতের স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে হঠাৎ বমি শুরু করে দুই বোন। তারা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে এমন মনে করে দুই বোনকে হাসপাতালে না নিয়ে বাড়িতেই চিকিৎসা দেন তারা।

 

 

হাসপাতালে নেওয়ার আগেই শুক্রবার রাতে সাথী খাতুন ও পাবনা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর শনিবার সকালে বিথী খাতুন মারা যায়।

পাবনা সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা.আনন বলেন, ‘ফুড পয়জনিং বা অজানা কোনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তারা মারা যেতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’

তবে নিহতের স্বজনরা জানান, স্কুলে ঝালমুড়ি খাওয়ার পর সাথী-বিথী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর বাসায় বমি করতে করতে সাথী মারা যায়। পরে বিথীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।

এদিকে, একই উপসর্গ নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর উপজেলার হাদল ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের তাসলিমা খাতুন ও রেশমা খাতুন নামে দুই গৃহবধূ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে জানা গেছে।

কালিকাপুর গ্রামের আজম প্রমানিকের স্ত্রী তসলিমা খাতুন (৪০) ও ফজলুল হকের স্ত্রী রেশমা খাতুন (৩২) অজানা রোগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে তারাও বমি শুরু করে বলে জানান স্বজনরা।

শনিবার বিকেলে পরিবারের সদস্যরা তাদেরকে প্রথমে ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। পরে অবস্থার অবনতি ঘটায় সন্ধ্যায় তাদের পাবনা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

সাথী-বিথী’র প্রতিবেশী মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ওই বাড়িতে হঠাৎ কান্নাকাটি শুনে আমরা সবাই গিয়ে দেখি সাথী ও বিথী বমি করছে। প্রথমে আমরা এটিকে সাধারণ ডায়রিয়া ভেবেছিলাম। পরে সাথী-বিথী মারা যাওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।’

বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান মনিরুল ইসলাম।

ফরিদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহম্মদ আলী বলেন, আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নিচ্ছি।

Development by: webnewsdesign.com