বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক অবশ্য বলেছেন, এতে আন্তর্জাতিক রুটে বিমান পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ পর্যাপ্ত পাইলট রয়েছে বিমান বাংলাদেশের। তবে চীনে সরকারি-বেসরকারি আর কোনো ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এদিকে বাংলাদেশের যেসব প্রকল্পে উহানের শ্রমিক আছে, এর মধ্যে যারা উহানে ফেরত গেছে, তাদের আর আসতে দেওয়া হবে না। তাদের ওয়ার্ক পারমিট আর নবায়ন করা হবে না বলে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় এসব বিষয় উঠে আসে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী, চিকিত্সক ও সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য, খাদ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, স্থানীয় সরকার, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও সচিবেরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে আরো ১৭১ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসতে চাইছেন। কিন্তু বাংলাদেশ বিমানে তাদের আনতে সমস্যা হচ্ছে। কেননা, এর আগে ৩১২ জন বাংলাদেশিকে আনতে যে ফ্লাইট গিয়েছিল, সেটির পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত পাইলট ও ক্রুদের অন্য দেশে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এ কারণে নতুন করে যারা আসতে চাইছেন, তাদের চীনের কোনো এয়ারলাইনসের ভাড়া করা উড়োজাহাজে আনার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে যারাই বাংলাদেশে আসবেন, তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সচিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়, চীনে বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে কি না।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, চীনের উহানে এখনো ১৭১ জন শিক্ষার্থী আছেন। তাদের দেশে আনা হবে। কিন্তু তাদের আনতে দেশ থেকে বিমান পাঠানো যাবে না। কারণ, যে বিমান পাঠানো হয়েছিল, তার পাইলট ও ক্রুদের সিঙ্গাপুরসহ অন্যান্য দেশ ভিসা দিতে চাইছে না। এ কারণে বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়কে চার্টার্ড বিমান নিতে বলা হয়েছে।
চীনের উহান থেকে শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনার পর উড়োজাহাজ ‘আকাশ প্রদীপ’কে জীবাণুমুক্ত করতে প্রায় ১২ ঘণ্টা সময় লেগেছে বিমানের প্রকৌশল বিভাগের। তবে ফ্লাইটের বর্জ্য নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ। কীভাবে এগুলো ধ্বংস করা যাবে, তার কোনো উপায় বের করতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনা :প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, যেভাবেই হোক করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে হবে। উহান থেকে যে ৩১২ জনকে দেশে আনা হয়েছে, তাদের অবশ্যই ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় নয়। বিমান মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হকও এই সভায় উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিত্সক প্রফেসর এম আবদুল্লাহও ছিলেন বৈঠকে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, বাংলাদেশের যেসব প্রকল্পে উহানের শ্রমিক আছে, এর মধ্যে যারা উহানে ফেরত গেছেন, তাদের আর আসতে দেওয়া হবে না। তাদের ওয়ার্ক পারমিট আর নবায়ন করা হবে না।
Development by: webnewsdesign.com