রাজশাহীর চারঘাটে সরকারী নিয়মনীতি উপেক্ষা করে পৌরসভার টোল আদায় করা হচ্ছে বলে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী সুজন নামের এক ব্যাক্তি।
এ বিষয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামিমের দৌত্ব বেঞ্চ শুনানী শেষে পৌরসভা মডেল ট্যাক্স অনুসরন করে টোল আদায়সহ আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে চারঘাট পৌরসভার মেয়রকে আদেশ দিয়েছেন। তবে হাইকোর্টের কপি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ পেয়েও আগের নিয়মেই টোল আদায় করছেন বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী সুজন।
জানা যায়, চারঘাট পৌরসভার অধিনে বালু বোঝায় কাভার ট্রাক প্রতি টোল বাবদ আদায় করা হচ্ছে ২৫০ টাকা এবং ছোট ট্রাক প্রতি আদায় করা হচ্ছে ১৫০ টাকা। যা সরকারী নিয়ম উপেক্ষিত বলে মনে করছেন ভুক্তভোগী সুজন। ফলে সুজন আলী চারঘাট পৌরসভার অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে পৌরসভার মেয়রের নিকট লিখিত অভিযোগ করেও কোন সুফল পাননি। তাই বাধ্য হয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। যার রিট পিটিশন নম্বর ১৪৮৬৮।
এর প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতি নজরুল ইসলাম ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামিম এর দৌত্ব বেঞ্চ শুনানী শেষে কোন নিয়মের মধ্যে টোল আদায় করা হচ্ছে এবং আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রমানাদি কাগজপত্রসহ জবাব দিতে পৌর মেয়র বরাবর রুল নিশি জারি করেছেন।
এ দিকে হাইকোর্ট বিভাগের এমন আদেশ থাকার পরেও এখনও চারঘাট পৌরসভা কর্তৃপক্ষ আগের নিয়মেই প্রতি ট্রাক প্রতি আদায় করছেন অতিরিক্ত টোল বলে দাবি ভুক্তভোগী ট্রাক চালকদের। এ নিয়ে বালুবাহি ট্রাক চালকদের সঙ্গে টোল আদায়কারীদের মধ্যে গত শনিবার সন্ধ্যায় বিরোধ সৃষ্টি হয়। এতে দীর্ঘক্ষণ বালুবাহি ট্রাক আটকে রাখা হয় বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী চালকরা।
এ বিষয়ে চারঘাট পৌরসভার সচিব রবিউল হক বলেন, পৌরসভার নিজস্ব কিছু নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম অনুযায়ী টোল আদায় করা হচ্ছে। এখানে কোথাও নিয়মের ব্যাত্যয় ঘটেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যেই রুলের জবাব দেয়া হবে।
পৌর মেয়র জাকিরুল ইসলাম বিকুল বলেন, আমরা সরকারী নিয়মের বাইরে কোন টোল আদায় করছি না। উচ্চ আদালতে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যেই প্রমানাদিসহ রুলের জবাব দিতে আমরা কাজ করছি।
Development by: webnewsdesign.com