আগে (বামে) ও পরেএকজন মানুষ। তিনি নিজেকে সাধারণ মানুষ হিসেবে ভাবতে চান না। তিনি নিজেকে ভাবতে চান একজন ‘ব্লাক এলিয়েন’ বা ভিনগ্রহের কৃষ্ণাঙ্গ আগন্তুক। এ জন্য যত রকম পরিবর্তন সম্ভব করিয়েছেন। ট্যাট্টু পরেছেন সারা দেহে। এমন কোনো স্থান নেই শরীরে যেখানে তিনি পরিবর্তন আনেননি। এক পর্যায়ে নাকের অগ্রভাগ এবং উপরের ঠোঁট কেটে ফেলতে হয়েছে। জিহ্বাকে কেটে দু’ভাগ করিয়েছেন।
উদ্ভট এমন নেশায় তিনি শরীরে আরো পরিবর্তন আনতে চান। কিন্তু ফল হয়েছে উল্টো। এখন তিনি ঠিকমতো কথা বলতে পারেন না। তার নাম অ্যান্থনি লেফ্রেডো। তার বাড়ি ফ্রান্সে। তিনি বলেছেন, এরপর শরীরের অন্য যেসব অঙ্গে পরিবর্তন আনতে চান তার মধ্যে রয়েছে হাত, পা, আঙ্গুল ও মাথার পিছনের অংশ। ইনস্টাগ্রামে তার অনুসারী আছেন ২ লাখ ২৭ হাজার মানুষ। তাদের উদ্দেশে তিনি নতুন নতুন নাটকীয় পরিবর্তনের ছবি পোস্ট করেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মেইল।
এতে বলা হয়েছে, অ্যান্থনি লোফ্রেডোর বয়স মাত্র ৩২ বছর। এর মধ্যে তিনি শরীরে যে পরিবর্তন এনেছেন তাতে তার দিকে তাকিয়ে যেকেউ ভয় পেয়ে যাবেন। নাকের সম্মুখভাগ কেটে ফেলেছেন স্পেনে। এটা তিনি নিজের দেশ ফ্রান্সে করাতে পারেননি। কারণ, এসব প্রক্রিয়া ফ্রান্সে নিষিদ্ধ। শরীর ফুটো করা, ট্যাট্টু করা এবং শরীরের কোনো রকম পরিবর্তন করা- যার ফলে শরীরে ক্ষত হতে পারে, এমনটা ইউরোপের অনেক দেশেই নিষিদ্ধ। ফলে কবে, কোথায় কার দ্বারা লোফ্রেডো এসব করিয়েছেন তা প্রকাশ করেননি। ইনস্টাগ্রামে সরাসরি প্রশ্নোত্তরে তিনি কথা বলেছেন।
Development by: webnewsdesign.com