ব্লাউজ পরোন ফ্যাশনেবল

সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ | ৩:৫১ অপরাহ্ণ

ব্লাউজ পরোন ফ্যাশনেবল
apps

শাড়িতেই নারীর সৌন্দর্য। সেই শাড়ির সঙ্গে রং বাহারি ব্লাউজ হওয়া চাই ফ্যাশনেবল। এখন ব্লাউজেও এসেছে নানা নকশা। লেস তো রয়েছেই, চুমকি ব্লানো, ব্লক প্রিন্ট ও ভিন্ন ভিন্ন কাট পুরো লুক পরিবর্তন করে দেবে আপনার। কিছু টিপস মেনে নিলে বর্ণিল ব্লাউজ আপনার গোটা সাজেই এনে দেবে ভিন্ন সাজ। সৌন্দর্যে নতুনত্ব যোগ করতে ব্লাউজের এই ভিন্ন নকশা শাড়ি পরিহিতাকে করে তুলবে অনন্যা।

শাড়িতে নারীর সৌন্দর্য বেড়ে যায়। এখনো তাই শাড়ির আবেদন সামাজিক উৎসবে, বিভিন্ন পার্বণে। রং বাহারি শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজে নিত্যনতুন ডিজাইন সেই সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে। বিভিন্ন রঙের বাহারই শুধু নয়- ডিজাইনের ভিন্নতাও ব্লাউজের সঙ্গী হয়েছে। এখন আবার ফিরে এসেছে গোল গলা, লেইস ব্লানো থ্রি-কোয়ার্টার হাতার ব্লাউজ, কলারওয়ালা ফুলস্স্নিভ ব্লাউজ, ঘটিহাতা, চুড়িহাতা ব্লাউজ। শাড়ির ডিজাইন যাই হোক না কেন ব্লাউজের রংটা হবে কন্ট্রাস্ট। যেহেতু শাড়িটি সুতির, ব্লাউজটা হবে একটু বাহারি ধাঁচের। কম বয়সিরা ব্লাউজের গলাটা একটু বড় রাখতে পারেন। আবার স্স্নিভলেসও পরতে পারেন। তবে শীতের বিষয়টি মাথায় রেখে পরলে ভালো হয়। ঘটিহাতা অথবা খাটো হাতাও পরা যেতে পারে। একটু বৈচিত্র্য আনতে ব্লাউজে ছোট ঘণ্টা ব্যবহার করতে পারেন। হাই কলার দেয়া পাঞ্জাবির মতো বা বোতাম দেয়া ব্লœাউজও এ ধরনের শাড়িতে বেশ মানানসই। দাওয়াতে বা রাতের অনুষ্ঠানে একটু জমকালো ব্লœাউজ বেছে নিতে পারেন। এ জন্য গলাবন্ধ ব্লœাউজের গলাজুড়ে পাথর, চুমকি বা পুঁতির কাজ করাতে পারেন। মোটকথা ব্লœাউজ হবে উৎসব ও পরিবেশের উপযোগী।
শাড়িটা এক রঙের হলে ব্লাউজটা যেন বেশ বাহারি হয়। এই যেমন- হালকা হলুদ জমিন ও কমলা পাড়ের শাড়ির সঙ্গে লাল ব্লাউজ মানানসই। কমলা রঙের ব্লাউজ পরতে পারেন হালকা সবুজ জমিন হলুদ পাড়ের শাড়ির সঙ্গে। স্স্নিভলেস ব্লাউজ পরলে শাড়িটা এক প্যাঁচে না পরাই ভালো। অল্টারনেক বা পেছনে কয়েক রঙের ফিতা দেয়া স্স্নিভলেস ব্লাউজও পরা যেতে পারে। থ্রি কোয়ার্টার হাতায় অথবা গলায় কুচি দিয়ে ব্লাউজ তৈরি করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে শাড়ি এক প্যাঁচেতেই বেশ ভালো মানাবে। এ ছাড়া গড়ন বুঝে স্স্নিভলেস ব্লাউজও বানাতে পারেন। সব হাতে স্স্নিভলেস ব্লাউজ মানায় না। লম্বা, মেদবর্জিত, লোমহীন, পরিষ্কার নরম কনুইয়ের সুডৌল হাতের অধিকারী যে কেউ পরতে পারেন স্স্নিভলেস। স্স্নিভলেস ব্লাউজের জন্য হাতের গড়ন বড় বিষয়। অতিরিক্ত মোটা বা চিকন হাতে স্স্নিভলেস ভালো মানায় না। তবে শখ তো ধরাবাধা নিয়ম মানে না। যারা একটু মোটা, তারাও স্স্নিভলেস ব্লাউজ পরতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে কাঁধের অংশ একটু চওড়া, আর পেছনে ওঠানো গলা ভালো মানাবে। এ ছাড়া যে পোশাকে আপনি অস্বস্তি বোধ করবেন; সে পোশাক যতই সুন্দর হোক না কেন, তা আপনাকে মোটেও মানাবে না। সময়ের পরিবর্তনে তৈরি হচ্ছে নানা ঢঙের স্স্নিভলেস ব্লাউজ। কখনো কাঁধ চওড়া, কখনো আবার ফিতার মতো সরু। পিঠ খোলা কি গলা বন্ধ, চায়নিজ কলার কি ব্যান্ড গলা, পেছনে ফিতা বা জুড়িতে ফিতার সঙ্গে গলার কাটিং বৈচিত্র্য তো রয়েছেই।

জনপ্রিয় কিছু ব্লাউজের মধ্যে রয়েছে-
হল্টারনেক : হাতাছাড়া এ ধরনের ব্লাউজে শুধু কলার থাকে। দুই কাঁধের ফিতা ঘাড়ের পেছনে কলারের মতো জুড়ে থাকে। যাদের দৈহিক গড়ন সুন্দর, তারা গলা, কাঁধ ও পিঠের সৌন্দর্য প্রকাশ করতে এ ব্লাউজ পরতে পারেন।
টিউব চোলি : এই ব্লাউজে কোনো শোল্ডার বা স্স্নিভ থাকে না। মাপ হতে হবে নিখুঁত। এর প্রধান অংশ ব্লাউজের। সেটা পেছনে বা সামনেও হতে পারে। গলার মাপ খানিকটা বড় হবে।
কলার স্টাইল : এ ব্লাউজে হাতা থাকে না, তবে কাঁধের অংশ খানিকটা চওড়া হয় আর কলার থাকে। সবাইকেই এ ব্লাউজে ভালো মানাবে।
সিঙ্গেল শোল্ডার : যাদের কাঁধ বড়, এ ব্লাউজ তার জন্য উপযোগী। এতে একটিমাত্র শোল্ডার বা ফিতা থাকে, আর কাঁধ কিছুটা খোলা রাখা থাকে। শারীরিক গঠন বেশ ভালো হলে এ ধরনের ব্লাউজ বেশ আকর্ষণীয় লাগে।
করসেট : এ ব্লাউজের কাঁধে সরু স্ট্রাইপ থাকে এবং নিচের অংশ ফিটিং থাকে। যাদের দেহের গড়ন চ্যাপ্টা, তারা করসেট পরতে পারেন। করসেট বানাতে হয় ঠিক মাপে। সঠিক মাপেই এ ব্লাউউজের সৌন্দর্য।

বিকিনি : অনেকটা বিকিনির মতো এ ব্লাউজ। গলার ফিতায় বা কাটে পাথর ও মুক্তা বসিয়ে ডিজাইন করা হয়। এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য দুই জোড়া ফিতা। এক জোড়া গলায় এবং অন্য জোড়া থাকে কোমরে।
শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ তাই গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে পরিপূর্ণ সাজে। সামাজিক উৎসবে, বিভিন্ন পার্বণে বাহারি শাড়ির সঙ্গে এখন বাঙালি নারীর পছন্দ হাল ফ্যাশনের রঙিন ব্লাউজ। এই ব্লাউজে রঙের যেমন বাহার রয়েছে, তেমনি বিভিন্ন ডিজাইনও মন কেড়ে নেবে। সময়ের বিবর্তনে ব্লাউজের এই নানারকম ডিজাইন শাড়ির সঙ্গে মানিয়ে নিলে পরিপূর্ণ এক সৌন্দর্য ফুটে ওঠে।

Development by: webnewsdesign.com