রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ধর্ম আমাদের আলোর পথ দেখায় এবং অন্যায়, পাপ, অন্ধকার থেকে দূরে রাখে। তাই ধর্মকে ব্যবহার করে কেউ যেন নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
বুধবার বঙ্গভবনে বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। যুবকদের যেন কেউ ধর্মের নামে বিভ্রান্ত করতে না পারে সেজন্য বিশেষ নজর রাখতে অভিভাবকদের আরও ইতিবাচক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
বাংলাদেশকে শান্তি ও সমৃদ্ধির জনপদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের এই অর্জন সকল জাতি, ধর্ম, বর্ণের মানুষের অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফসল। তিনি ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিব বর্ষ’ ও ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ খ্রিষ্টানদের উৎসবে তাদের সুখ, সমৃদ্ধি ও আনন্দময় ভবিষ্যৎ কামনা করেন।
যিশু খ্রিষ্টকে আলো ও মুক্তির দূত উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, যিশু খ্রিষ্ট বিশ্বের শান্তির পথ দেখিয়ে গেছেন। তার দর্শন ছিল ভালোবাসা, সেবা, ক্ষমা ও ন্যায় বিচারে পরিপূর্ণ একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা। তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি বর্তমানে এই সমস্যা সঙ্কুল ও সংকটময় বিশ্বে জাতিতে জাতিতে শান্তি ও ঐক্য প্রতিষ্ঠায় যিশুর শিক্ষার একান্ত প্রয়োজন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ে তোলা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে বড়দিন উপলক্ষে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এ উপলক্ষে সেখানে একটি ক্রিসমাস গাছ রোপণ ও মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ, কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি রোজারিও, কূটনৈতিক কোরের ডীন আর্চবিশপ জর্জ কোচেরি, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও, বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক, বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্র মিশনের প্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও পেশাজীবীরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এ সময় একদল সঙ্গীতশিল্পী বড়দিনের গান পরিবেশন করেন। পরে রাষ্ট্রপতি বড়দিনের কেক কাটেন এবং খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের সাথে ফটোসেশনে অংশ নেন।
Development by: webnewsdesign.com