পরিবর্তন হচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা

শনিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২১ | ৪:৩১ অপরাহ্ণ

পরিবর্তন হচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা
apps

অবশেষে পরিবর্তন হচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা-২০১৭। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলামকে সভাপতি ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালামকে সদস্য সচিব করে ইতোমধ্যেই ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি ও যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে ন্যুনতম যোগ্যতা নির্ধারণে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা অনুসরণ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়নকল্পে গত ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০৭তম সিন্ডিকেট সভায় ১০৬ নং সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গোলাম কবির, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ, হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সায়েদুজ্জামান, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু নাসের মোহাম্মদ ওয়াহিদ ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মোঃ মশিহুর রহমান।

এর আগে ২০১৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি যুগপোযোগী নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছিল। আড়াই বছর কাজ করে ২০১৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটে “শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা” অনুমোদিত হয়েছিল, যা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা-২০১৫ নামে পরিচিত।

রাবি শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা-২০১৫ এর মূল বৈশিষ্ট্য ছিল- অনার্স ও মাস্টার্সে ন্যুনতম সিজিপিএ ৩.৫ প্রাপ্তদের মধ্যে শুধুমাত্র ১ম থেকে ৭ম স্থান অধিকারীরা আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু ২০১৭ সালের ৭ মে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহান দ্বায়িত্ব গ্রহণের পর, একই বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা-২০১৫ ব্যাপকভাবে শিথিল করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা-২০১৭ প্রণয়ন করেন।

২০১৭ সালে শিথিলকৃত শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালায় সকল অনুষদের ক্ষেত্রে ১ম থেকে ৭ম স্থান অধিকারীদের আবেদনের যোগ্যতাটি শিথিল করা হয়। ২০১৭ সালের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালায় অন্যান্য অনুষদের (বিজ্ঞান অনুষদ, জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদ, কৃষি অনুষদ এবং প্রকৌশল অনুষদ) আবেদনের নূন্যতম সিজিপিএ (অর্থাৎ ঈএচঅ ৩.৫) ঠিক রেখে বিজনেস স্ট্যাডিজ অনুষদ, আইন অনুষদ, কলা অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ও চারুকলা অনুষদের আবেদনের যোগ্যতা সিজিপিএ তিন দশমিক পাঁচ (ঈএচঅ ৩.৫) এর নিচে নামিয়ে আনা হয়। এমনকি, কিছু অনুষদে আবেদনের যোগ্যতা সিজিপিএ ৩.০০ করা হয়। যা নিয়ে সারাদেশে চরম বিতর্কেরর সৃষ্টি হয়েছিল।

এই নিয়োগ নীতিমালা পরিবর্তনের জন্য আগামী সপ্তাহ থেকেই কাজ করতে যাচ্ছে ‘নিয়োগ নীতিমালা’ পরিবর্তন কমিটি।

এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, নিয়োগ নীতিমালা পরিবর্তনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের একটা গাইডলাইন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা-২০১৫ রয়েছে। তাই নতুন নিয়োগ নীতিমালার কাজ শেষ করতে বেশি সময় লাগার কথা না।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা পরিবর্তনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ নীতিমালাও পরিবর্তন করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সব ধরনের নিয়োগ নীতিমালা পরিবর্তনের আগে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নতুন করে কোনো নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে না।

এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি অধ্যাপক সুলতান-উল- ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে যুগোপযোগী ও দক্ষ শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগের জন্য সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী সকল নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

Development by: webnewsdesign.com