সমুদ্রে এমন কিছু প্রাণী আছে যাদের জীবন ও গঠন খুবই বিস্ময়কর। এসব প্রাণীদের মধ্যে কম্ব জেলি অন্যতম।
এ প্রাণীটির দেহের ৯৫ শতাংশই পানি। এর নেই কোনো পাকস্থলী, অন্ত্র বা ফুসফুস। খাদ্যকণা এবং অক্সিজেন এদের কোষে সরাসরি প্রবেশ করে। লম্বা হতে পারে পাঁচ ফুট পর্যন্ত। তবে এদের ওজন মাত্র একটি সাধারণ জেলিফিশের সমান। দেহের আবরণ দুই কোষ পুরু।
আটটি সিলিয়ার সারি দিয়ে এদের দেহের লম্বা বরাবর সাজানো। যা এদের সাঁতার কাটতে সাহায্য করে। এদের কোনো মস্তিষ্কও নেই। কম্ব জেলির দৈহিক আবরণে নিউরনের নেটওয়ার্ক রয়েছে। এটিই এদের স্নায়ুতন্ত্রের কাজ করে।
এদেরকে প্রায়ই রংধনুর মতো আলো ছড়াতে দেখা যায়। পূর্বে ধারণা করা হতো, এটি বায়োলুমিনিসেন্সের ফলাফল। প্রকৃতপক্ষে এদের দেহ ডায়মন্ডের মতো বিভিন্ন দিকে আলোর বিচ্ছুরণ ঘটাতে পারে। ফলে তৈরি হয় রং বেরঙের আলোকসজ্জা।
দেখতে জেলিফিশের মতো হলেও, প্রকৃতপক্ষে এরা জেলিফিশ নয়। এরা টিনোফোরা নামক একটি স্বতন্ত্র পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। বিশ্বব্যাপী এদের প্রায় ১৫০ প্রজাতি বসবাস করে।
জেলিফিশের মতোই এদেরও কর্ষিকা রয়েছে। তবে এসব কর্ষিকা যন্ত্রণাদায়ক নয়, বরং আঁঠালো। এসব আঠালো কর্ষিকার সাহায্যেই এরা শিকার ধরে।
শারীরিক গঠন এবং জীবন কৌশল সমুদ্রের প্রাণীর এক মহাবৈচিত্র্য তৈরি করেছে। কম্ব জেলি সেই বৈচিত্র্যের একটি উদাহরণ মাত্র।
সূত্র- সময় টিভি
Development by: webnewsdesign.com