বিরোধিতা করছেন নির্বাচন বিধিমালা তৈরি কারীরাই

সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২০ | ৬:২৩ অপরাহ্ণ

বিরোধিতা করছেন নির্বাচন বিধিমালা তৈরি কারীরাই
apps

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, ‘যারা নির্বাচন বিধিমালা প্রণয়ন করেছেন, তারাই এখন এর বিরোধিতা করছেন।’

সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা কাছে আনঅফিসিয়াল নোট (ইউও) দিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন।

একইসঙ্গে তিনি এতে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের (এমপি) নির্বাচন আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য একটি আলাদা পরিপত্র জারির দাবি তুলেছেন।
আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী প্রচারণা বা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ সম্পর্কে বিভ্রান্তি’ নিয়ে লেখা ওই নোটে তিনি বলেন, ‘আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রচারণায় ও কার্যক্রমে সংসদ সদস্যরা অংশগ্রহণ করছেন বলে বিগত ৯ জানুয়ারি ইউও নোটের মাধ্যমে আমি উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলাম।

মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী প্রচারণায় ও কার্যক্রমে অংশগ্রহণ নিয়ে আমার সেই উদ্বেগ বর্তমানে আরও ঘণীভূত হয়েছে। কারণ গত কয়েকদিনে বিধিমালা নিয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমি মনে করি, বিদ্যমান আচরণবিধি অনুযায়ী নির্বাচন সম্পর্কিত যেকোনো কমিটিতে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। এই নির্বাচনী কার্যক্রম ঘরে বা বাইরে যেকোনো স্থানে হতে পারে। এ বিষয়ে আচরণ বিধিমালা, ২০১৬ সালের বিধান অত্যন্ত সুস্পষ্ট। সর্বাধিক দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এই বিধিমালা যারা প্রণয়ন করেছেন, তারাই এখন এর বিরোধিতা করছেন।

‘আচরণ বিধিমালা সম্পর্কে যাতে কোনো ধরনের বিভ্রান্তির অবকাশ না থাকে, সেজন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনাসহ একটি পরিপত্র জারি করা অত্যাবশ্যক। না হলে এসব বিভ্রান্তি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে ও নির্বাচন কমিশন আস্থার সংকটে পড়বে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
ইউও নোটটি তিনি ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছেও পাঠিয়েছেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এমপিরা প্রচারে এবং নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না বলে আচরণবিধিকে স্ববিরোধী বলেছেন। এতে দলটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই বলেও দাবি করেছে।
আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

Development by: webnewsdesign.com