বঙ্গবন্ধু আ.লীগকে নিয়ে খালেদার কটূক্তির বিচার কেরানীগঞ্জে

মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৯ | ১:২২ অপরাহ্ণ

বঙ্গবন্ধু আ.লীগকে নিয়ে খালেদার কটূক্তির বিচার কেরানীগঞ্জে
apps

স্টাফ রিপোর্টার
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ২৯ ডিসেম্বর নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। এছাড়া আইন মন্ত্রণালয় থেকে গ্রেজেট প্রকাশিত হওয়ায় মামলাটির বিচার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত অস্থায়ী আদালতে অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আমিনুল হক এ দিন ধার্য করেন। এ দিন মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে খালেদা জিয়ার আইনজীবী অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর সময় আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে ২৯ ডিসেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন। মামলার বাদী জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী ও বাদীর আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম আব্দুল্লাহ আল মাসুদের আদালতে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে শাহবাগ থানার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
২০১৮ সালের ৩০ জুন দুই মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস। এরপর মামলার বাদী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। ২০১৯ সালের ২০ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমান প্রতিবেদন আমলে নিয়ে খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর উচ্চ আদালত থেকে খালেদা জিয়া জামিন নেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রিত্ব। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ায় এ দেশের জনগণ যুদ্ধে নেমেছিল।’
খালেদা জিয়া আরও বলেছিলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে উন্নয়নের নামে চলছে দুর্নীতি ও লুটপাট। লোকদের জঙ্গি বানিয়ে নিরীহ লোকজনকে হত্যা করছে, সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও হত্যা করা হচ্ছে। পুলিশ দিয়ে বিরোধীদলসহ ভালো ভালো লোককে গ্রেফতার, গুম ও হত্যা করছে। উন্নয়নের নামে পদ্মা সেতু ও ফ্লাইওভারের কাজ বিলম্ব করে ব্যয়বহুল অর্থ দেখিয়ে লুটপাট করছে। যার বিরুদ্ধে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হুকুম দিচ্ছি, তোমরা প্রতিটি গ্রামগঞ্জে নেমে এ সরকারের বিরুদ্ধে সব জনগণ ও যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ার ব্যবস্থা কর।’
দুদকের করা দুই মামলায় ১০ ও ৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বন্দি অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলাগুলোর বিচার কার্যক্রম কেরানিগঞ্জের নতুন কারাগারে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতদিন এসব মামলার বিচার কার্যক্রম পুরনো ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারের পাশে স্থাপিত বিশেষ এজলাসে চলছিল।

Development by: webnewsdesign.com