নেত্রকোনার মদনে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ

নেত্রকোনার মদনে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
apps

সাত হাজার টাকা যৌতুক দাবি পূরণ করতে না পারায় নির্যাতন করে স্ত্রী হাফসা খাতুনকে হত্যার পর নদীতে ভাসিয়ে লাশ গুমের চেষ্টা মামলায় স্বামী ছোটন মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক কিরণ শঙ্কর হালদার আসামিদের উপস্থিতিতে আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলার প্রধান আসামি ছোটন মিয়ার বাবা-চাচা ও ভাইদের খালাস দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছোটন মিয়া নেত্রকোনার মদন উপজেলার ঘাটুয়া পশ্চিম পাড়ার আবদুর রহমানের ছেলে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০০৩ সালে পূর্ব ঘাটুয়া গ্রামের মো. আবদুলের মেয়ে হাফসা খাতুনকে পশ্চিম ঘাটুয়া গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে ছোটন বিবাহ করেন। বিয়ের সময় ছয় হাজার টাকা যৌতুক ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় ছোটন মিয়ার হাতে। বিয়ের দুই বছরের মাথায় নতুন করে সাত হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন ছোটন মিয়া। আর এ দাবি পূরণ করতে না পারায় নির্যাতন করে হাফসার পা ভেঙে দিয়ে তাকে বাবার বাড়িতে পাঠান ছোটন। এ ঘটনার কিছু দিনের মধ্যেই চিকিৎসার কথা বলে কৌশলে হাফসাকে আবার নিয়ে আসেন ছোটন। এক পর্যায়ে বোনের খোঁজ নিতে ছোটনদের বাড়ি যান হাফসার বড় ভাই মো. তমজিদ। এ সময় ছোটনের বাবা আবদুর রহমান জানান, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে হাফসাকে গোবিন্দশ্রী গ্রামে ছোটনের বোনের বাড়িতে রেখে এসেছে। পরে সেখানেও হাফসাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

২০০৫ সালের ২৯ মে ইটনা উপজেলার বাদলা ইউনিয়নের বরশী কড়া গ্রামের বালুচর থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশটি হাফসার বলে শনাক্ত করে স্বজনরা। এ ঘটনায় হাফসার ভাই তমজিদ বাদী হয়ে ছোটন, তার দুই ভাই ইসলাম উদ্দিন ও রোকন উদ্দিন, বাবা আবদুর রহমান, চাচা আবদুল মান্নাফ ও কুসুম উদ্দিনকে আসামি করে ইটনা থানায় মামলা করেন।

Development by: webnewsdesign.com