দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় এক নারীকে ধর্ষণ করতে গিয়ে পুরুষাঙ্গ হারিয়েছে মো. নাঈম (৩৫) নামের যুবক। রবিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাষানচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নাঈম ওই গ্রামের আজম আলী সরদারের ছেলে। তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালান। ঘটনার পর নাঈমকে (৩৫) গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাকে বরিশাল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ভুক্তভোগী ওই নারী ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, ওই নারী দুই সন্তানের জননী। তার স্বামী নদীতে মাছ শিকার করেন। স্বামীর পেশার পাশাপাশি নকশিকাঁথা তৈরি করে বিক্রি করেন গৃহবধূ। নাঈম তার স্বামীর বন্ধু। সেই সুবাদে তাদের বাড়ি যাওয়া-আসা করতেন। তিন মাস ধরে গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন নাঈম। বিষয়টি নিয়ে নাঈমকে বারবার সতর্ক করেছিলেন ওই নারী। কিন্তু তিনি শোনেননি।
রবিবার রাত ১২টার দিকে ঘর থেকে বের হয়ে ওই নারী বাথরুমে গেলে ওই সুযোগে ঘরে ঢুকে খাটের নিচে লুকিয়ে থাকে নাঈম। বাথরুম থেকে এসে ঘরের দরজা বন্ধ করে তিনি ঘুমিয়ে পড়লে হঠাৎ মুখ চেপে ধরে জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় নাঈম। দুইজনের মধ্যে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে উপায়ন্তর না পেয়ে ধর্ষণ থেকে বাঁচতে খাটের পাশে থাকা সুই-সুতার বক্স থেকে ব্লেড নিয়ে নাঈমের পুরুষাঙ্গ কেটে দেন নারী। তখন নাঈম ডাক-চিৎকার দিলে স্থানীয়রা ছুটে আসে এবং তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
রসুলপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) এমদাদুল হক মিঠু বলেন, নাঈম এর আগেও এলাকার কয়েকজন নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছিল। ওইসব ঘটনায় কয়েকবার তাকে জরিমানা করা হয়। নাঈম এলাকার চিহ্নিত লম্পট। ওই নারীর ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করায় তার পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়া হয়েছে।
চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা শোভন কুমার বশাক বলেন, রোববার রাত পৌনে ৩টার দিকে নাঈমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শশীভূষণ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন গৃহবধূ। ঘটনার তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Development by: webnewsdesign.com