দীর্ঘ দেড় বছর পর জেলা শহরের ঐতিহ্যবাহী কুড়িগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে (পুরাতন গার্লস) এডহক কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব নিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার মো:শামছুল আলম।এর আগে কমিটি জটিলতা ও প্রধান শিক্ষকের চাকুরির মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে সমস্যার কারনে শিক্ষক কর্মচারির বেতন দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ থাকে।
পরে জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসারের হস্তক্ষেপে জেলা শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষরে শিক্ষক-কর্মচারিগণ বেতন উত্তোলন করেন।পরে গত দুই সপ্তাহ আগে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জেলা শিক্ষা অফিসারকে শিক্ষাবোর্ড বরাবর সভাপতি হওয়ার জন্য আবেদন করলে দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড গত ২৯ জানুয়ারি কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার মো:শামছুল আলমকে কুড়িগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে অনুমোদন দেয়।নতুন সভাপতি হিসেবে আজ বুধবার (৫ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় কুড়িগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনি আসেন।
এসময় সকল শিক্ষক শিক্ষিকামন্ডলী তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।এডহক কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন-পদাধিকার বলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনজুরুল হক সদস্য,মাসুদুর রহমান অভিভাবক সদস্য ও মাওলানা মোশাররফ হোসেন শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য। নতুন এডহক কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক কর্মচারির সাথে তিনি সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।এরপর তিনি এডহক কমিটির প্রথম সভা করেন। এতে বিদ্যালয়ের উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনজুরুল হকের সভাপতিত্বে এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র শিক্ষক আবুল কাশেম সরকার,মনোয়ারা রহমান,আলাউদ্দীন,বিদ্যুত কুমার গোস্বামী প্রমুখ।
জেলা শিক্ষা অফিসার মো:শামছুল আলম জানান,জেলা শহরের একটি অত্যন্ত প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কুড়িগ্রাম পুরাতন গার্লস হাইস্কুল। এ বিদ্যালয়ে ১ম শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় দেড়হাজার ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়ন করে আসছে। অনেক সুনামের সাথে শহরের এ প্রতিষ্ঠানটি চলছিল। কিন্তু গত দেড়বছর যাবত এ প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষকের চাকুরি মেয়াদ শেষে অতিরিক্ত সময়ে মেয়াদ বৃদ্ধি করা ও অনিয়মতান্ত্রিকভাবে কমিটি ভেঙ্গে তা পুর্ণগঠনসহ নানা জটিলতা নিয়ে শিক্ষক ও কমিটির মধ্যে মামলা মোকদ্দমা হয়।সম্প্রতি সেসব মামলা নিস্পত্তিসহ সকল সমস্যা নিরসন হলে শিক্ষা বোর্ড দীর্ঘদিন পর নতুন এ এডহক কমিটি অনুমোদন দেয়।শিক্ষকদের সকল সমস্যা দুর করে ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটিকে পুর্বের অবস্থানে শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনা হবে বলে শিক্ষা অফিসার দৃঢ আশা ব্যক্ত করেন। তিনি সকল শিক্ষক ও অভিভাবকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
Development by: webnewsdesign.com