ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সমন

মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২০ | ৩:০৫ অপরাহ্ণ

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সমন
apps

গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন ঢাকার একটি শ্রম আদালত।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক রহিবুল ইসলাম এ সমন জারি করেন। ওই আদালতের সেরেস্তাদার মিয়া মো. জামাল উদ্দিন জানান, ৬ ফেব্রুয়ারি তাকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।

গত ৫ জানুয়ারি ঢাকার একই আদালতে এ মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) তরিকুল ইসলাম। মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ কমিউনিকেশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা, পরিচালক আ. হাই খান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (জিএম) গৌরি শংকরকে বিবাদী করা হয়েছে। মামলাটি গ্রহণ করে আদেশের জন্য রেখেছিলেন আদালত। আজ ড. ইউনূসসহ ওই তিন বিবাদীর বিরুদ্ধেও সমন জারি করা হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল বাদীপক্ষের এক পরিদর্শক প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন করে শ্রম আইনের কিছু ব্যত্যয় দেখতে পান। ওই পরিদর্শক প্রতিষ্ঠানের ত্রুটিগুলো সংশোধনের নির্দেশনা দেন। এরপর ৭ মে ডাকযোগে বিবাদী পক্ষ এ বিষয়ে জবাব দেন। জবাবের পর মামলার বাদী একই বছর ১০ অক্টোবর গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সে সরেজমিনে পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটির দ্বারা ১০টি বিধি লঙ্ঘন হচ্ছে বলে দেখতে পান।

এ বিষয়ে বিবাদীদের জবাব দিতে বলা হয়। তবে জবাব সন্তোষজনক হয়নি গত ২৮ অক্টোবর বর্তমান পরিদর্শক আবারও তা অবহিত করেন। কিন্তু নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করে বিবাদীরা ফের সময়ের আবেদন করেন। এরপর সময় অনুযায়ী তারা জবাব দাখিল না করায় প্রতীয়মান হয় যে, বিবাদীরা শ্রম আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নন।

এ অবস্থায় ড. ইউনূসসহ বিবাদীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৩ ধারা ৩৩ (ঙ) এবং ৩০৭ মোতাবেক দণ্ডনীয় অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।

গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের বিরুদ্ধে যেসব বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বিধি মোতাবেক শ্রমিক/কর্মচারীদের নিয়োগপত্র, ছবিসহ পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বহি দেওয়া হয়নি, শ্রমিকের কাজের সময়ের নোটিশ পরিদর্শকের কাছ হতে অনুমোদিত নয়, কোম্পানিটি বার্ষিক ও অর্ধবার্ষিক রিটার্ন জমা দেয়নি, কর্মীদের বৎসরান্তে অর্জিত ছুটির অর্ধেক নগদায়ন করা হয় না, কোম্পানির নিয়োগবিধি মহাপরিদর্শক অনুমোদিত নয়, ক্ষতিপূরণমূলক সাপ্তাহিক ছুটি ও উৎসব ছুটি সংক্রান্ত কোনো রেকর্ড/রেজিস্টার সংরক্ষণ করা হয় না, কোম্পানির মূনাফার অংশ ৫ শতাংশ শ্রমিকের অংশগ্রহণ তহবিল গঠনসহ লভ্যাংশ বণ্টন করা হয় না, সেফটি কমিটি গঠন করা হয়নি, কর্মীদের অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করালেও কোনো ঠিকাদারি লাইসেন্স গ্রহণ করেননি এবং কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর থেকে লাইসেন্স গ্রহণ করেনি।

ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের কারণে গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের চাকরিচ্যুত তিন কর্মীর পৃথক তিনটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এর আগে একই আদালত গত ৯ অক্টোবর ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। পর ৩ নভেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাকিয়া পারভীনের আদালত থেকে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান তিনি।

Development by: webnewsdesign.com