সপ্তাহে একটি ডিম খান তাদের তুলনায় যারা সপ্তাহে চারটি ডিম খান তাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ৩৭ ভাগ কম। ‘দ্য আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন’ এ প্রকাশিত এক গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। ‘সুপারফুড’ ডিমে রয়েছে, প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, ফসফরাস, আয়রন, জিংক, ম্যাঙ্গানিজসহ সব উন্নত পুষ্টি উপাদান। এছাড়াও ডিম মাংসপেশি, মস্তিষ্কের টিস্যু গঠন ও মেধা বিকাশে সহায়তা করে। সারাদিন কাজের ক্লান্তিভাব কাটাতে সাহায্য করে ডিম।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, শরীরের সেরোটোনিন হরমোনের মাত্রা কমে গেলে মানসিক অবসাদের সৃষ্টি হয়। ডিম সেরোটোনিন তৈরির ভালো উপাদান। এতে আরও রয়েছে ফলিক এসিড যা মুড বুস্টার হিসেবে কাজ করে। স্বাদে সেরা ডিমের ফলিক এসিড, গর্ভাবস্থায় থাকা শিশুর জন্মগত রোগ স্পাইনা বাইফিডাকে করে প্রতিরোধ।
ডিমের ওমেগা ৩ ফ্যাট, ডেকাসোহেক্সানয়িক অ্যাসিড মস্তিস্কের বিকাশ, রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে দারুণ সহায়ক। ডিমের লুটেইন এবং জিয়াজ্যানথিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রেটিনাকে রাখে সুস্থ।
শিশু থেকে বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ সবাই সকালের নাস্তায় ডিম খেতে পারেন বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদরা। তবে উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্থুলতার মতো শারীরিক সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ মতো ডিম খেতে হবে।
Development by: webnewsdesign.com