পীরগঞ্জে অসময়ে তরমুজ চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখছে পাঁচ বন্ধু

বুধবার, ১৮ আগস্ট ২০২১ | ৪:১৫ অপরাহ্ণ

পীরগঞ্জে অসময়ে তরমুজ চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখছে পাঁচ বন্ধু
apps

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে যৌথভাবে অসময়ে তরমুজ চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন পাঁচ বন্ধু । সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে তরমুজ চাষ করে বাম্পার ফলন ফলাতে সক্ষম হওয়ায় ভালো লাভের ও আশা করছেন তারা।

ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার দস্তমপুর গ্রামের বাসিন্দা পরিম উদ্দীন জানান, ২ একর দানাজপুর ফার্মের লিজকৃত জমিতে তিনিসহ তার চার বন্ধু আসাদুল ইসলাম, আলামিন, ফারুক ইসলাম ও শাহদত ইসলাম দুই জাতের তরমুজ চাষ করেন তারা। এসব তরমুজ চাষ করে এখন প্রায় ৩-৪ লক্ষ টাকা লাভের আশা করছেন তারা।

স্থানীয় জানায় উপজেলায় এই জাতের তরমুজ দ্বিতীয়বার চাষ করেছেন। বর্তমানে শুরু হয়েছে বিপণন কার্যক্রম। এ তরমুজ বিক্রি করছেন মণ প্রতি ৮ শত টাকা থেকে ৯ শত টাকা পর্যন্ত।
বর্তমানে বিঘাপ্রতি ১৫০ মণ তরমুজ উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে তাদের। স্থানীয় বাজারের গণ্ডি পেরিয়ে কৃষক পরিম উদ্দীনর আশা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রির। এদিকে অসময়ে তরমুজ হওয়ার কারণে চাহিদা ব্যাপক।

এদিকে তাদের এ তরমুজের ক্ষেত দেখতে দূর-দুরান্ত থেকে আসছেন অনেকে। যাদের মধ্যে কেউ কেউ অনুপ্রাণিতও হয়ে এভাবে তরমুজ চাষের আগ্রহ প্রকাশ করছেন। অসময়ে পাওয়ায় বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে মিষ্টি এই তরমুজ বলে জানিয়েছেন পরিম উদ্দীন। তার সফলতায় অনেক কৃষক এখন এই জাতের তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।


বিপণন কার্যক্রমের জন্য কোথাও যেতে হয়নি তাদেরকে। আগ্রহীরা জমিতে এসেই কৌতূহল ভরে তরমুজের ফলন দেখছেন এবং কিনছেন। তরমুজকে কীটনাশকমুক্ত এবং সম্পূর্ণ অর্গানিক রাখতে তিনি মাচায় থাকা তুরমুজ নেটের ব্যাগে ঝুলিয়ে দিয়েছেন। ফলে ক্ষেতে তার এ তরমুজের আকৃষ্টতাও বেড়েছে। ঝুলিয়ে থাকার ফলে পানিতে নষ্ট হওয়ার ভয়ও নেই। তার ক্ষেতে উৎপাদিত এই তরমুজের ওজন দুই থেকে ৩ কেজি।

এ ছাড়া এই তরমুজ বারমাসি জাতের। তিনি আবারও ৩ একর জমিতে সম্প্রতি বপন করেছেন। এগুলো আগামী অক্টোবর মাসে ফলন দেয়া শুরু হবে। অসময়ে মাটি থেকে উঁচুতে ঝুলিয়ে তরমুজের চাষকে ফল উৎপাদকদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত বলে কৃষিবিদরা মনে করেন। এ ছাড়া তিনি এ অঞ্চলের আগ্রহী কৃষক ও শিক্ষিত বেকারদের জন্য কৃষি বিষয়ে সহযোগিতা করতে চান।

বীজ ব্যবসায়ী এস এম জাকির হোসেন উন্নত মানের বীজের কারণে ভালো ফলন সম্ভব বলে তিনি জানান, বিদেশি জাতের এ তরমুজ বারোমাসি ফল হওয়ায় মৌসুম শেষে এ ফলের চাষ করলে কম পরিশ্রমে বেশি লাভ করা সম্ভব।

পীরগঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কৃষক পমির উদ্দীন এ সফলতায় উপজেলায় এ জাতের তরমুজ চাষের সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। এ জাতের তরমুজ মাত্র ৩০ দিনেই ফলন শুরু হয়। তারপর ৭০ দিনের মধ্যে ফলন বিক্রি শুরু। অসময়ের হওয়ায় ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তা ছাড়া কৃষক বেশ ভালো দাম পেয়ে লাভবান হচ্ছেন। আমরা বরাবরই তাদেরকে পরামর্শ দিয়ে থাকি।

Development by: webnewsdesign.com