ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানি বন্ধ ১৯৯০ সাল থেকে। দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর পর সীমিত পরিসরে শর্তসাপেক্ষে আবারও ওয়েট ব্লু চামড়া (পশম ছাড়ানো চামড়া) রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এক কোটি বর্গফুট চামড়া রপ্তানির অনুমতি পেল ৫টি ট্যানারি। ৩০ বছর পর আবারও ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তনির অনুমতি
গত দুই বছর ঈদুল আজহায় দেশের কাঁচা চামড়ার একটি অংশ পচে যায়। দাম না পাওয়ায় মৌসুমি বেপারিরা অনেকে রাস্তায় চামড়া ফেলে চলে যায়। রাগে ক্ষোভে নদীতে চামড়া ফেলে দেন কেউ কেউ।
এই প্রেক্ষাপটে চামড়া পচে যাওয়া ঠেকাতে গত ঈদুল আজহার আগে চামড়া রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। যাচাই-বাছাই শেষে এক বছর পর অনুমতি পেল ৫টি ট্যানারি। সাভারের বিসিক চামড়া শিল্প নগরীর লেদার ইন্ডাস্ট্রিজ অব বাংলাদেশ, এ এস কে ইনভেস্টমেন্ট, মেসার্স কাদের লেদার কমপ্লেক্স, আমিন ট্যানারি ও হাজারীবাগের কালাম ব্রাদার্স ট্যানারি চূড়ান্ত অনুমতি পেয়েছে।
প্রতিটি ট্যানারি শর্তসাপেক্ষে ২০ লাখ বর্গফুট করে মোট এক কোটি বর্গফুট চামড়া রপ্তানি করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বকসী সময় সংবাদকে জানান, ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানির ফলে দেশীয় চামড়ার বাজার স্থিতিশীল থাকবে। ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য পাবেন কোরবানিদাতারা।
তবে চামড়া রপ্তানির ক্ষেত্রে ৭টি শর্ত দিয়েছে সরকার। রপ্তানির মেয়াদ থাকবে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। পরবর্তীকালে আরও চামড়া রপ্তানি করতে হলে নতুন করে আবেদন করে অনুমতি নিতে হবে।
রপ্তানি নীতি অনুসরণ করে মানসম্মত চামড়া রপ্তানি করতে হবে। চামড়া জাহাজীকরণ শেষে রপ্তানি সংশ্লিষ্ট সব কাগজপত্র বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি শাখায় দাখিল করতে হবে। যে দেশে রপ্তানির জন্য অনুমতি প্রদান করা হবে, সে দেশেই রপ্তানি করতে হবে। প্রয়োজনে যে কোনো সময় ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানি নিষিদ্ধ করতে পারবে সরকার।
চামড়াজাত পণ্যের বহুমুখীকরণ ও মূল্যসংযোজন করে প্রক্রিয়াজাত চামড়া রপ্তানি বাড়াতে ১৯৯০ সালে ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানি বন্ধ করে দেয় সরকার।
সীমিত পরিসরে ওয়েট ব্লু রপ্তানির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ট্যানারি মালিকরা। ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ সময় সংবাদকে জানান, দেশে বর্তমানে বছরে চামড়ার চাহিদা ২৫ কোটি বর্গফুট। চাহিদার বড় অংশই আসে কোরবানির পশু থেকে। ব্যাপকভাবে চামড়া রপ্তানি হলে দেশের চামড়াশিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বেকার হবে ট্যানারি শ্রমিকরা।
Development by: webnewsdesign.com