তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় ঢুকতে ওসির অনুমতি লাগে!

রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২০ | ৮:০৭ অপরাহ্ণ

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় ঢুকতে ওসির অনুমতি লাগে!
apps

‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে এবারের পুলিশ সপ্তাহ উদযাপন হয়েছিলো।কিন্তু শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ জনতাকে দুরে ঠেলে দেয়ার প্রক্রিয়ায় ব্যস্ত।

 

 

 

রোববার দুপুর সাড়ে ১২টা। থানার ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করতেই কনস্টেবলের বাঁধা। কেন এসেছেন কার কাছে যাবেন কি কাজসহ একগাদা প্রশ্ন ছুঁড়লেন। বললাম ওসি সাহেবের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। কনস্টেবলের উত্তর আগে স্যারকে ফোন দেন পরে ঢোকেন। জানতে চাইলাম থানায় আসলে কি এভাবেই সকলকে ফোন দিতে হয়। কনস্টেবলের সাফ উত্তর বেশি কথা বলেন কেন ফোন দেন তারপর যাবেন। না হয় পথ ছাড়েন। নিজের পরিচয় দেয়ার পরও নানা তালবাহানার পর তিনি ভেতরে ঢুকতে দেন। পার্কিংয়ে মোটর বাইক রেখে ভিতরে ডিউটি অফিসারের কক্ষের দিকে এগোতেই ডিউটি অফিসার উঠে আসলেন। কেন এসেছি জানতে চাইলেন। ওসির কথা বলতেই বললেন তিনি মিটিংয়ে ব্যস্ত, পরিদর্শক (তদন্ত) তিনিও ব্যস্ত। অপেক্ষা করতে চাইলে বলেন ঠিক আছে আমাকেই বলেন। পরে অনেক ইনিয়ে বিনিয়ে পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলামের কক্ষে ঢুকতে পেরেছি। মনে হলো থানায় কিছু একটা হয়েছে। সব পুলিশ কি যেনো লুকোচ্ছে। পরে জানা গেলো থানা হাজতে গতরাতে এক সরকারি কর্মকর্তা হাজতে মারা গেছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় অনেকটা সতর্কাবস্থায় রয়েছে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ।

 

 

 

এদিকে গত শুক্রবার বিকেলে সাভারের হেমায়েতপুরের জোরপুল এলাকার লাজপল্লীতে যশোর জেলা সমিতি’র বিজয় উৎসবে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পটোয়ারি বলেন, এখন থানায় গেলে পুলিশ আগের চেয়ে কিছুটা হলেও ভিন্নধর্মী আচরণ করে। এটি একটি শুভ সূচনা। এক সময় এই পুলিশই আপনাদের পাশে থাকে, পুলিশ সারা দিনরাত কষ্ট করে বলেই কিন্তু আপনি রাতে নিরাপদে ঘুমান। সুতরাং এই পুলিশ সদস্যরা আছে বলেই কিন্তু আমি মনে করি আমরা নিরাপদ আছি এবং সারা পৃথিবীতে পুলিশ যে কাজটি করে, তা হলো অত্যান্ত দ্রুত কাজ।

Development by: webnewsdesign.com