কুলাউড়ায় প্রবাসীকে হত্যা করে লাশ দেশে পাঠানোর অভিযোগ

বুধবার, ১২ জানুয়ারি ২০২২ | ১:২৪ অপরাহ্ণ

কুলাউড়ায় প্রবাসীকে হত্যা করে লাশ দেশে পাঠানোর অভিযোগ
apps

কুলাউড়ায় আমিরুল ইসলাম সিমু চৌধুরী নামে এক কাতার প্রবাসীকে হত্যা করে দেশে লাশ পাঠিয়েছে তার সহযোগীরা। পরিকল্পিতভাবে তাকে কাতারে ঘরের ভিতর হত্যা করে হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে তার রুমের সহযোগী কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের পূর্বভাগ গ্রামের বাসিন্দা আব্বাস আলীর চারপুত্র উজ্জ্বল, খায়রুল, আজহারুল ইসলাম ও খছরু গংরা। সোমবার দুপুরে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের পূর্বভাগ গ্রামের বাসিন্দা নিহত আমিরুল ইসলাম সিমু চৌধুরীর স্ত্রী মোছা. রোজিনা আক্তার দুই সন্তান সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন অভিযোগ করেন। রোজিনা আক্তার লিখিত সংবাদ সম্মেলনে জানান, তার স্বামী কাতার প্রবাসী আমিরুল ইসলাম সিমু চৌধুরী দীর্ঘদিন কাতারে কর্মরত ছিলেন। তিনি যে বাসায় বসবাস করতেন সেখানে তার চার মামাতো ভাই একই সঙ্গে বসবাস করতেন। গতবছর ৪ঠা এপ্রিল উজ্জ্বলসহ চার ভাই মিলে সিমু চৌধুরীকে পিটিয়ে হত্যা করে। ঘটনার ৭দিন পর স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ ফোনে জানান উজ্জ্বল গংরা। স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ গোপন রেখে ৭ দিন পরে তাদেরকে জানানোর জন্য সিমুর পরিবার সন্দেহ করছেন চার ভাই মিলে তাকে হত্যা করে হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন।

এ অবস্থায় স্বামীর লাশের আশায় সবকিছু চাপা দিয়ে তাদের সঙ্গে কৌশলে যোগাযোগ করলে মৃত্যুর ৯দিন পর লাশ দেশে পঠিয়েছে নিহত সিমু চৌধুরীর মামাতো ভাইয়েরা। বাড়িতে তিনি মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে একাকিত্ব অসহায় অবস্থায় পড়ায় তাদের কোনো কথায় কর্ণপাত করেনি উজ্জ্বলের পরিবার। ওইদিন স্থানীয় চেয়ারম্যান জনাব আলী ও চানপুর গ্রামের নাসির উদ্দিনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণের সম্মুখে একটি অঙ্গীকারনামা করে তার স্বামীর লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেন। পরে গত ২৩শে জুলাই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জনাব আলীর সভাপতিত্বে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় তাদের ভরণ- পোষণ বাবত নগদ ৫ লাখ টাকা প্রদান করা হবে। কিন্তু আজ অবদি সেই টাকা পরিশোধ করেনি উজ্জ্বলের পরিবার। স্বামী হত্যার ঘটনায় সরকার ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনাসহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তিনি। এ ব্যাপরে প্রবাসী উজ্জ্বলের চাচাতো ভাই নাসির উদ্দিন জানান, বিষয়টি আমাদের পারিবারিক। যারা এতিম হয়েছে সেই ছোট ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যৎ আমরা পর্যায়ক্রমে দেখবো। এ নিয়ে কেউ যদি গেম খেলে তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। এ ব্যাপারে সালিশি বৈঠকের মধ্যস্থতায় উভয়পক্ষের কাছে আত্মীয় কর্নেল শায়েদ মিনহাজ সিদ্দিকী পল্লবের সঙ্গে তার ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

Development by: webnewsdesign.com