এমপিরা প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইতে পারবেন না: ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনে

ভোট চাইতে না পারলেও ঘরোয়া বৈঠক করতে ‘পারবেন’ এমপিরা

শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২০ | ৩:৫৮ অপরাহ্ণ

এমপিরা প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইতে পারবেন না: ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনে
EC
apps

ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনে এমপিরা প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইতে পারবেন না, তবে তারা ঘরোয়া বৈঠক করতে পারবেন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও এমপি তোফায়েল আহমেদ। শনিবার (১১ জানুয়ারি) ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক করেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘তবে রাস্তায় পথসভায় আমরা যাব না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্যানভাস করব না। কিন্তু নির্বাচনী অফিস, যেমন- আমাকে সমন্বয়কের দায়িত্ব দিয়েছে, অনেককে দায়িত্ব দিয়েছে। আমরা অফিসে বসে পরিকল্পনা করতে পারি, এটাতে কোনো বাধা নাই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এখন একটা মিলাদে যাচ্ছি, এই মিলাদে তো বাধা নাই। মিলাদে আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করব। আমাদের প্রার্থীর জন্য একটু দোয়া করব, এটা তো কোনো আচরণবিধি পরিপন্থী না। কর্মীদের দিক নির্দেশনা দেয়া -এগুলো ঘরের মধ্যে বসে এমপিরা করতে পারবে।’

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘তবে কমিশনের অনুরোধ, আমাদের মতো এমপিরা যেন ভোট না চাই। আমার সাথে থেকে যে এমপি না সে কিন্তু ভোট চাইতে পারবে। এগুলো তারা পরিষ্কার করেছেন।’

এটা কি গায়ের জোরে করলেন না কি আইন অনুযায়ী? এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘তুমি যদি এগ্রেসিভ প্রশ্ন কর, তাহলে এর উত্তর দেয়া সম্ভব না। আমি বলেছি, গঠনমূলক একটা আলোচনা হয়েছে। পাঁচজন কমিশনারের মধ্যে একজন তো বিরোধিতা করতেই পারে।’

আচরণবিধি তো সংশোধন হয়নি। ফলে কমিশন একমত হলেই কি বৈধতা পাবেন কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একমত তো না। তোমরা হলো কি, প্রশ্ন কর বেশি, কোনো আপত্তি নাই। তারা (ইসি) যে বিধি প্রণয়ন করছে, বিধি থেকে তারা সরছে না। কিন্তু কিছু তো স্ববিরোধিতা আছে।’

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালার ২২ নম্বর ধারা ১ নম্বর উপধারায় বলা আছে, ‘সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচন পূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।’

‘সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ অর্থ হলো- প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, সরকারের মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধীদলীয় উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাহাদের সমপদমর্যাদার কোনো ব্যক্তি, সংসদ সদস্য এবং সিটি কর্পোরেশনের মেয়র।

তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের চোখে এটা ভালো হবে না, আমাদের চোখেও ভালো হবে না। কিন্তু আমাদের বক্তব্যটা ঠিক। অফিস অব প্রফিট, এটা আমরা এমপিরা পাই না, মন্ত্রীরা পায়, হুইপ পায়। আর প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার তারা তো পান’ই। তারা উদ্যোগ নিয়েছিলেন এটাকে পরিবর্তন করতে, কিন্তু সম্ভব হয়নি। আমরাও বলেছি, এটা পরিবর্তন করতে বলছি না, মেনে নিলাম।’

নির্বাচন কমিশনারদের পাঁচজনের চারজনই তাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে বলে জানান তোফায়েল আহমেদ। তিনি জানান, ‘কমিশনার মাহবুব তালুকদার তাতে দ্বিমত পোষণ করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘মাহবুব তালুকদার সেদিন বলেছিলেন আজকেও বলেছেন যে, আমি আমার অফিসে বা ঘরে বসেও নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে পারব না। এটা উনি ছাড়া আর সকলেই একমত হয়েছে যে, এটা বাস্তবসম্মত না। আমরা ঘরোয়াভাবে, অফিসে বসে মিটিং করতে পারব। মহল্লায় গিয়ে ঘরে বসে মিটিং করতে পারব। সেগুলোতে কোনো বাধা নাই।’

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘ইভিএম সম্পর্কে আমরা বলেছি, এটা সম্পূর্ণ আপনাদের (ইসি) এখতিয়ার। এটা করলেও আমাদের আপত্তি নাই, না করলেও আমাদের আপত্তি নাই। এটা আপনাদের ব্যাপার।’

তিনি বলেন, ‘গ্যারান্টি দিতে পারি আমাদের নেতারা ঘরে ঘরে যাবে একাধিকবার। গ্যারান্টি দিতে পারি, এই নির্বাচনে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবে। গ্যারান্টি দিতে পারি, একটা অবাধ নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ভোট চাইতে না পারলেও ঘরোয়া বৈঠক করতে ‘পারবেন’ এমপিরা

ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনে এমপিরা প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইতে পারবেন না, তবে তারা ঘরোয়া বৈঠক করতে পারবেন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও এমপি তোফায়েল আহমেদ। শনিবার (১১ জানুয়ারি) ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক করেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘তবে রাস্তায় পথসভায় আমরা যাব না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্যানভাস করব না। কিন্তু নির্বাচনী অফিস, যেমন- আমাকে সমন্বয়কের দায়িত্ব দিয়েছে, অনেককে দায়িত্ব দিয়েছে। আমরা অফিসে বসে পরিকল্পনা করতে পারি, এটাতে কোনো বাধা নাই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এখন একটা মিলাদে যাচ্ছি, এই মিলাদে তো বাধা নাই। মিলাদে আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করব। আমাদের প্রার্থীর জন্য একটু দোয়া করব, এটা তো কোনো আচরণবিধি পরিপন্থী না। কর্মীদের দিক নির্দেশনা দেয়া -এগুলো ঘরের মধ্যে বসে এমপিরা করতে পারবে।’

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘তবে কমিশনের অনুরোধ, আমাদের মতো এমপিরা যেন ভোট না চাই। আমার সাথে থেকে যে এমপি না সে কিন্তু ভোট চাইতে পারবে। এগুলো তারা পরিষ্কার করেছেন।’

এটা কি গায়ের জোরে করলেন না কি আইন অনুযায়ী? এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘তুমি যদি এগ্রেসিভ প্রশ্ন কর, তাহলে এর উত্তর দেয়া সম্ভব না। আমি বলেছি, গঠনমূলক একটা আলোচনা হয়েছে। পাঁচজন কমিশনারের মধ্যে একজন তো বিরোধিতা করতেই পারে।’

আচরণবিধি তো সংশোধন হয়নি। ফলে কমিশন একমত হলেই কি বৈধতা পাবেন কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একমত তো না। তোমরা হলো কি, প্রশ্ন কর বেশি, কোনো আপত্তি নাই। তারা (ইসি) যে বিধি প্রণয়ন করছে, বিধি থেকে তারা সরছে না। কিন্তু কিছু তো স্ববিরোধিতা আছে।’

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালার ২২ নম্বর ধারা ১ নম্বর উপধারায় বলা আছে, ‘সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচন পূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।’

‘সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ অর্থ হলো- প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, সরকারের মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধীদলীয় উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাহাদের সমপদমর্যাদার কোনো ব্যক্তি, সংসদ সদস্য এবং সিটি কর্পোরেশনের মেয়র।

নিজের যুক্তি তুলে ধরে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘সুবিধাভোগী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। জাতীয় সংসদ সদস্যরা সুবিধাভোগী না। অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, যদিও আমি ব্যক্তিগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি না। আমাদের শেখ সেলিম, আমাদের আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী মাহবুব আলম হানিফ -এরাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। আবার মওদুদ আহমেদ, ড. মোশাররফ, আব্বাস -এরা প্রত্যেকেই কিন্তু মন্ত্রী ছিল। তারাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। নির্বাচন কমিশন স্বীকার করেছে, এ সংজ্ঞার মধ্যে স্ববিরোধিতা রয়েছে। কিন্তু এখন আমাদের কিছু করার নাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের চোখে এটা ভালো হবে না, আমাদের চোখেও ভালো হবে না। কিন্তু আমাদের বক্তব্যটা ঠিক। অফিস অব প্রফিট, এটা আমরা এমপিরা পাই না, মন্ত্রীরা পায়, হুইপ পায়। আর প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার তারা তো পান’ই। তারা উদ্যোগ নিয়েছিলেন এটাকে পরিবর্তন করতে, কিন্তু সম্ভব হয়নি। আমরাও বলেছি, এটা পরিবর্তন করতে বলছি না, মেনে নিলাম।’

নির্বাচন কমিশনারদের পাঁচজনের চারজনই তাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে বলে জানান তোফায়েল আহমেদ। তিনি জানান, ‘কমিশনার মাহবুব তালুকদার তাতে দ্বিমত পোষণ করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘মাহবুব তালুকদার সেদিন বলেছিলেন আজকেও বলেছেন যে, আমি আমার অফিসে বা ঘরে বসেও নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে পারব না। এটা উনি ছাড়া আর সকলেই একমত হয়েছে যে, এটা বাস্তবসম্মত না। আমরা ঘরোয়াভাবে, অফিসে বসে মিটিং করতে পারব। মহল্লায় গিয়ে ঘরে বসে মিটিং করতে পারব। সেগুলোতে কোনো বাধা নাই।’

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘ইভিএম সম্পর্কে আমরা বলেছি, এটা সম্পূর্ণ আপনাদের (ইসি) এখতিয়ার। এটা করলেও আমাদের আপত্তি নাই, না করলেও আমাদের আপত্তি নাই। এটা আপনাদের ব্যাপার।’

তিনি বলেন, ‘গ্যারান্টি দিতে পারি আমাদের নেতারা ঘরে ঘরে যাবে একাধিকবার। গ্যারান্টি দিতে পারি, এই নির্বাচনে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবে। গ্যারান্টি দিতে পারি, একটা অবাধ নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

Development by: webnewsdesign.com