আজও মেলেনি বিচার

আলোচিত ফেলানি হত্যার ৯ বছর পূর্ণ

মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২০ | ১২:৩৯ অপরাহ্ণ

আলোচিত ফেলানি হত্যার ৯ বছর পূর্ণ
apps

২০১১ সালের আজকের এই দিনে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর রামখানা অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় ১৪ বছরের কিশোরী ফেলানি। সাড়ে চার ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে থাকে ফেলানির নিথর দেহ। গণমাধ্যমসহ বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সমালোচনার মুখে পড়ে ভারত। ফেলানি হত্যার ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও বিচার না পাওয়ায় হতাশ তার পরিবার। এখনো ন্যায়বিচার পাওয়ার আশায় দিন গুনছে ফেলানির স্বজনরা।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোর ৬টার দিকে ফুলবাড়ীর অনন্তপুর সীমান্ত পাড়ি দিয়ে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নিহত হয় ফেলানি। সাড়ে চার ঘণ্টা ফেলানির দেহ কাঁটাতারের ওপর ঝুলে থাকার পর লাশ নিয়ে যায় বিএসএফ। এ ঘটনায় বিশ্বজুড়ে তোলপাড় শুরু হলে মৃত্যুর ৩০ ঘণ্টা পর ৮ জানুয়ারি লাশ ফেরত দেয় বিএসএফ। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অব্যাহত চাপের মুখে ভারত দুই বছর পর ফেলানি হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু করে। ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারে জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে শুরু হয় বিচার। একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর আসামি অমিয় ঘোষকে খালাস দেন বিএসএফের বিশেষ কোর্ট। পুনর্বিচারে ২০১৫ সালের ২ জুলাই একই আদালত ফের আসামি অমিয় ঘোষকে খালাস দেন।

২০১৫ সালের ১৩ জুলাই ভারতীয় মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম) ফেলানি হত্যার বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে রিট করেন। ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর শুনানির পর ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে বারবার তারিখ পিছিয়ে যায়। ফলে থমকে গেছে ফেলানি হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবি।

ফেলানির বাবা নুরুল ইসলাম নুরু বলেন, ‘আমার চোখের সামনে মেয়েডারে গুলি করে মারলো, বিচার পাইলাম না।’ ফেলানির মা জাহানারা বেগম বলেন, ‘খুনের বিচার হইলে মেয়ের আত্মাটা শান্তি পাইতো।’
ফেলানির মামলায় তার বাবা নুরুল ইসলাম নুরুকে সহায়তাকারী কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর এস এম আব্রাহাম লিংকন বলেন, ‘ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে ফেলানি হত্যাকাণ্ডের রিট এ বছর তালিকাভুক্ত না হওয়ায় কিছুটা বিলম্বিত হতে পারে বিচারিক কাজ।’

Development by: webnewsdesign.com