সড়ক সংস্কারে ধীরগতি দুর্ভোগে পথচারী

সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২০ | ৬:১৪ অপরাহ্ণ

সড়ক সংস্কারে ধীরগতি দুর্ভোগে পথচারী
apps

সড়ক প্রশস্তকরণ ও সংস্কার কাজে ধীরগতির কারণে এবং শুস্ক মৌসুমে সড়কের ধুলাবালিতে নাভিশ্বাস উঠেছে কুলাউড়া-রবিরবাজার সড়কে যাতায়াতকারী মানুষের। ১৮ মাস মেয়াদের প্রকল্পের বছরখানেক চলে গেলেও ৩০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়নি এখনও। বর্ষায় কর্দমাক্ত এবং শুস্ক মৌসুমে ধুলাবালি ও খোদাই করা সড়কের কারণে উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের চার ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কুলাউড়া উপজেলা সদর থেকে রবিরবাজার হয়ে ঢিলেরপার বাজার এবং ভায়া টিলাগাঁও পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার রাস্তার উন্নয়ন, রাস্তা প্রশস্তকরণ ও পাকাকরণ কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে। ১৮ মাস মেয়াদে ৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের কাজটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় ঢাকার ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন। কাজ পাওয়ার পর তারা ১২ কিলোমিটার রাস্তা ভেঙে কাজ শুরু করে। এরই মধ্যে এক বছর চলে গেলেও এখনও সড়কের এক-তৃতীয়াংশ কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। শর্তানুযায়ী অটোম্যাটিক মিক্সচার মেশিন প্লান্টের মাধ্যমে পিচ ঢালাই করার কথা। কিন্তু তারা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সড়কের পিচ ঢালাইয়ের চেষ্টাকালে সওজের প্রকৌশলীরা কাজটি বন্ধ করে দেন। এজন্য ছয় মাস ধরে কাজ প্রায় বন্ধ রয়েছে। এদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অটোম্যাটিক মিক্সচার মেশিন পল্গান্ট স্থাপনেও বিলম্ব হচ্ছে। কাজ বন্ধ রাখায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।

উপজেলার রাউৎগাঁও, পৃথিমপাশা, কর্মধা ও টিলাগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দারা এই সড়ক ব্যবহার করেন। শুস্ক মৌসুম হওয়ায় রাস্তা থেকে প্রচুর ধুলা উড়ছে। এ সড়কে চলাচলে ধুলা ও খানাখন্দের ঝাঁকুনিতে বেকায়দায় পড়তে হয় যাত্রীদের। এদিকে অপরিকল্পিত উন্নয়ন কাজের কারণে অতিরিক্ত ভাড়া গোনার পাশাপাশি সড়কে চলাচলে সময়ও নষ্ট হচ্ছে মানুষের। কুলাউড়া-রবিরবাজার ১০ কিলোমিটার সড়কের অটোরিকশার ভাড়া ছিল ২০ টাকা। রাস্তার বেহাল দশার অজুহাতে চালকরাও ৫-১০ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন। ফলে মানুষ দুর্ভোগ ও আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। সাধারণ যাত্রীসহ স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন দুর্ভোগ মাড়িয়ে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে যাতায়াত করছেন। বিভিন্ন কর্মস্থলে পৌঁছাতে ২০ মিনিটের রাস্তায় প্রতিদিন ৩০-৪০ মিনিট বিলম্ব হয় তাদের। গাড়ি চালক ও মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশনের প্রজেক্ট সুপারভাইজিং ম্যানেজার আসাদুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের মেয়াদে পুরো সড়কের কাজ সম্পন্ন করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অত্যাধুনিক মিক্সচার মেশিন স্থাপনের স্থান নির্ধারণে জটিলতার কারণে কাজে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। প্রকল্প থেকে ১৫ কিলোমিটার দূর রাজনগর উপজেলার মুন্সীবাজারে মিক্সচার প্লান্ট স্থাপনের কাজ চলছে।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার আলম বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পিচ ঢালাইয়ের কাজ সম্পাদন করতে চাচ্ছিল। কিন্তু আমরা প্রকল্পের শর্তানুযায়ী অত্যাধুনিক মিক্সচার মেশিন প্লান্টের মাধ্যমে কাজ বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দিই। জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহের দিকে দ্বিতীয় লেয়ারের কাজ শুরু হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে।

Development by: webnewsdesign.com