সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের পথে পাকিস্তান

বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২০ | ৫:৫০ অপরাহ্ণ

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের পথে পাকিস্তান
apps

পাকিস্তানে সন্ত্রাস ও এই সম্পর্কিত ঘটনা আগের থেকে অনেক কমে গেছে। সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসী অবকাঠামোর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রহণ করা অভিযান ও নীতি সুফল দিতে শুরু করেছে। ইসলামাবাদভিত্তিক সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (সিআরএসএস) নির্বাহী পরিচালক ইমতিয়াজ গুল এই তথ্য জানিয়েছেন।সম্প্রতি সিনহুয়াকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে গুল বলেন, সন্ত্রাসী ঘটনা হ্রাসের ফলে পাকিস্তানের জন্য তা মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদে কল্যাণ বয়ে আনবে।

 

তাছাড়া শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল দেশ হিসেবে বিশ্বজুড়ে ইতিবাচক ইমেজের প্রপাগান্ডা থেকেও পাকিস্তান লাভবান হবে।সিআরএসএসের প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায় যে ২০১৯ সালে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে ৭.৫ ভাগ। আর এসব হামলায় নিহতের সংখ্যা কমেছে ২৯.৯ ভাগ। ন্যাশনাল কাউন্টার টেরিরিজম অথরিটির (এনএসিটিএ) পরিসংখ্যান অনুযায়ী পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে কমেছে ২১ ভাগ।

 

 

 

এনএসিটিএ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ২০১৮ সালে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছিল ৫১৭ জন, আর ২০১৭ সালে সংখ্যাটি ছিল ৬৬৮ জন।সন্ত্রাস দমনে নিরাপত্তা বাহিনী ও রাজনৈতিক নেতাদের সর্বাত্মক প্রয়াসের প্রশংসা করে বিশেষজ্ঞ গুল বলেন, চরমপন্থী গ্রুপগুলোকে শান্তি বিঘ্নিত করতে না দেয়ার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, স্পষ্ট ইচ্ছাশক্তি কাজ করছে।

 

সন্ত্রাসী ঘটনা হ্রাসে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও দারুণ ভূমিকা পালন করেছে। সন্ত্রাসের কারণে পাকিস্তানের পর্যটন খাত ও সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা উল্লেখ করে গুল বলেন, সন্ত্রাস হ্রাস পেলে জনসাধারণের মধ্যে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে, নিরাপত্তার ধারণা গড়ে ওঠবে।সিনহুয়াকে দেয়া পৃথক এক সাক্ষাতকারে পাক ইনস্টিটিউট ফর পিস স্টাডিজের পরিচালক মোহাম্মদ আমির রানা বলেন, পাকিস্তান যদি বর্তমান পর্যায়ের নিরাপত্তা বজায় রাখতে পারে এবং ভবিষ্যতে তা বাড়াতে পারে, তবে তা কেবল অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারেই সহায়ক হবে না, সেইসাথে সামাজিক অগ্রগতিতেও সাফল্য পাবে। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ পাকিস্তান ও এর জনসাধারণকে নানাভাবে আক্রান্ত করেছে। হাজার হাজার বেসামরিক ও নিরাপত্তা কর্মীর জীবন কেড়ে নেয়ার পাশাপাশি পাকিস্তান সামাজিক-সাংস্কৃতিকভাবেও বিপুল মূল্য দিয়েছে। রানা বলেন, এখন দিনে দিনে অবস্থার উন্নতি হয়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ছে, পাকিস্তানের জনগণের জন্য সামাজিক সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।

 

তিনি বলেন, সরকার ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রয়োজন সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তাদের প্রয়াস আরো সুসংগত করা। কারণ সন্ত্রাসবাদের হুমকি এখনো পুরোপুরি নির্মূল হয়নি।

Development by: webnewsdesign.com