রোনালদোর শারীরিক সোন্দর্য দেখে ‘উত্তেজনায় কাঁপেন’ জর্জিনা

শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ১০:৪৪ অপরাহ্ণ

রোনালদোর শারীরিক সোন্দর্য দেখে ‘উত্তেজনায় কাঁপেন’ জর্জিনা
apps

বহু নারীর সঙ্গে সময় কাটানো ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর এখন পর্যন্ত স্থায়ী জীবনসঙ্গী হওয়ার পথে রয়েছেন জর্জিনা রদ্রিগেজ। অনেকদিনের প্রেম তাদের। পর্তুগিজ মহাতারকাকে প্রথম দেখাতেই ভালো লেগেছিল জর্জিনার। সাথে সাথে ভালোবেসেও ফেলেছিলেন। এত দিন পর সেই প্রথম দেখার রোমাঞ্চের কথা এক ইতালিয়ান পত্রিকাকে জানিয়েছেন জর্জিনা। তিনি নাকি রোনালদোর সুঠাম শরীর আর সৌন্দর্য দেখে উত্তেজনায় কাঁপছিলেন।

তখন স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদে খেলছেন সিআর সেভেন। লিওনেল মেসির সঙ্গে তার দুর্দান্ত লড়াই চলছে। দুজনেই ফুটবলবিশ্বের মহাতারকা। ঠিক সেই সময় মাদ্রিদে গুচির এক শো-রুমে রোনালদোর সঙ্গে দেখা হয় জর্জিনার। তিনি তখন ছিলেন গুচির ওই শো-রুমের সাধারণ একজন কর্মী। রোনালদো কিছু একটা কিনতে এসেছিলেন। কিন্তু গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলা তো দূরের কথা, তার দিকে তাকিয়ে বাকশক্তি হারিয়েছিলেন জর্জিনা। এর পরের গল্পটা সবারই জানা। সেই জর্জিনা এখন রোনলদোর সন্তানের মা।

 

 

প্রেমের স্মৃতিচারণ করে জর্জিনা বলেছেন, ‘তার উচ্চতা, তার শরীর, তার সৌন্দর্য আমার হৃদয় কেড়ে নিয়েছিল। তার সামনে দাঁড়িয়ে আমি তো কাঁপছিলাম। তবে আমার চোখে আগুন জ্বলছিল। আমি খুব লাজুক। এ কারণেই নিজের সামনে এমন একজন সুপুরুষ দেখে আমার নড়াচড়া করতে পারিনি। প্রথম দেখাতেই সে আমার হৃদয় খুব গভীরভাবে স্পর্শ করে গিয়েছিল। সেই প্রথম দেখায় রোনালদোকে আমার ভালো লাগার পর সে আমার জন্য সবকিছুই করেছে, আমাকে ভালোবেসেছে।’

এভাবেই প্রেম শুরু হয় তাদের। কিন্তু একজন সেলসম্যান হয়ে রোনালদোর প্রেমিকা হওয়া সহজ ছিল না জর্জিনার জন্য। সারাক্ষণ ক্যামেরার চোখ রোনালদোকে ফলো করে চলে। যে কারণে জর্জিনার ব্যাপারটাও দ্রুতই জানাজানি হয়ে যায়। এত চোখ এড়িয়ে প্রেমিকের সঙ্গে ঠিকভাবে দেখা করাটাও কঠিন হয়ে পড়েছিল জর্জিনার জন্য, ‘পরিস্থিতি আর সামলানো যাচ্ছিল না। মানুষ আমাকে তাড়া করে বেড়াত। আমাকে ফোন দিত, আমার শো-রুমে ক্রেতা সেজে আসত। সংবাদমাধ্যমের চোখ এড়াতে একটা সময় আমি কাউন্টারের পেছনে কাজ করতে শুরু করি।’

 

 

 

মিডিয়ার কারণে এত কষ্ট সহ্য করেছেন জর্জিনা যে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। সেগুলো তিনি ভুলতেন মাঠে রোনালদোর খেলা দেখে। জর্জিনা আরও বলেন, ‘একটা সময় এটা আর সহ্য হচ্ছিল না। সবসময় তারা আমার পিছু নিত। আমি নিরাপদে বাইরে যেতে পারতাম না, সব সময় কেউ না কেউ আমার ছবি তোলার চেষ্টা করত। এ কারণে আমি সব সময় নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতাম। ম্যাচের সময় তাকে দেখে আমি রোমাঞ্চিত হতাম। সর্বকালের সেরা ফুটবলারের সঙ্গিনী হতে পেরে আমি ভাগ্যবতী। সে যখন মাঠে খেলে, আমি তখন আবেগে ভাসি। রোনালদো প্রকৃতপক্ষেই অপ্রতিদ্বন্দ্বী।’

Development by: webnewsdesign.com