বাগেরহাটে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৬, দোকান ও মোটরসাইকেল ভাংচুর

শনিবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২২ | ১২:১১ অপরাহ্ণ

বাগেরহাটে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৬, দোকান ও মোটরসাইকেল ভাংচুর
apps

বাগেরহাটে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল, সন্ধ্যা ও রাতে উপজেলার মুক্ষাইট এবং কোড়ামারা এলাকায় গোটাপাড়া ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ডের সদস্য আসলাম কাজী টুটুল এবং গোটাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সমশের আলীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ১১ জন বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এসময় ইউপি সদস্য আসলাম কাজী টুটুলের দোকান ও উভয় পক্ষের অন্তত ৮-১০টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া আহতরা হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হাওলাদার (৫৮), মুক্ষাইট এলাকার ইউপি সদস্য আসলাম কাজী টুটুলের বাবা গোটাপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মোসলেম কাজী (৫৫), আসলাম শেখের স্ত্রী ফিরোজা বেগম (২৫), সানি মোড়ল (২১), রফিকুল ইসলাম (৫০), মঞ্জুর করিমি (৭০) কোড়ামারা এলাকার জাহাঙ্গীর (৩২), মোঃ মুসা খান (৩৫), কহিনুর বেগম (৪০), চিরুলিয়া এলাকার হাফিজুল শেখ (৩৫), গোটাপাড়া এলাকার রবিউল করিম (৩৮), সাজোখালী এলাকার স্বপন বিশ্বাস (২৩)। অন্য আহতদের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি। ইউপি সদস্য আসলাম কাজী টুটুল বলেন, আমার বাড়ি মুক্ষাইট। গতকাল বৃহস্পতিবার নেতাকর্মীদের নিয়ে বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহন করি। হঠাৎ করে গ্রাম থেকে একটি ফোন আসে আমাদের দোকান আক্রমন করা হবে। কয়েকদিন ধরে পরিকল্পনা চলছে আমাদের দোকানে হামলা করবে। ফোন পেয়ে রওনা দিয়ে গ্রামে পৌছানোর আগে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ সমশের আলী, পরাজিত সদস্য প্রার্থী গফফার ও তার লোকজন আমাদের দোকান পাট ভাংচুর করে। সেই সাথে আমার বাবাসহ বেশ কয়েকজনককে
মারধর করে তারা। পরবর্তীতে আমরা মুক্ষাইটে পৌছানোর পরে রাতে আবারও তারা আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়। ইউপি সদস্য আসলাম কাজী টুটুলের অভিযোগ অস্বীকার করে গোটাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সমশের আলী বলেন, সন্ত্রাস বিরোধী মিছিল শেষ করে আমরা শুনতে পারি মুকুলের স্ত্রীর উপর হামলা হয়েছে। মুকুলের স্ত্রী কোহিনুর বেগমকে দেখতে আমরা নেতাকর্মীদের নিয়ে কোড়ামারা এলাকায় যাই। সেখান থেকে ফিরে মুক্ষাইট মোড়ে দলীয় কার্যালয়ে বসলে, নব্য আওয়ামী লীগ জামায়াত-বিএনপির সাবেক
ক্যাডাররা আমাদের উপর হামলা করে। হামলাকারীরা আমার পালসার মোটরসাইকেলসহ ৮-১০টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। জীবন বাঁচাতে আমরা দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে প্রবেশ করি। তারপরও হামলাকারীরা সাটারের উপর ইটপাটকেল ছোড়ে।নব্য আওয়ামী লীগ বা জামাত শিবির কারা এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারও নাম উল্লেখ না করে চেয়ারম্যান আরও বলেন, তারা সবাই স্থানীয় মুক্ষাইটের বাসিন্দা এবং বিএনপি-জামাতের লোক। বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের বিষয়ে কোন পক্ষ এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা আইনিগত ব্যবস্থা গ্রহন করব। ফের সংঘর্ষে এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Development by: webnewsdesign.com