খুলনার রূপসায় পিতা এনামুল হক এন্তের (৫০)কে হত্যার পর লাশ গুম করে সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। প্রায় ৭ মাস পর বৃহস্পতিবার বিকালে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ছেলে নিয়ামুল ইসলাম তানভির (১৮) ও সহায়তাকারী জুম্মান (৪০)কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহত এনামুল হক (৫০) শোলপুরের বাসিন্দা ছিলেন।
এলাকাবাসী জানায়, গত ২৯শে ডিসেম্বর নিয়ামুল ইসলাম তানভির তার ছোট ভাই নাঈমকে (১১) মারধর করলে এক পর্যায়ে নাঈম চিৎকার করে তার পিতার হত্যার কথা বলতে থাকে। বিষয়টি এলাকাবাসী শুনতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। নিয়ামুল দিঘলিয়ার একটি গ্রামে আত্মগোপন করে। পরে পুলিশ পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করে ও এনামুল হক এন্তের গলিত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। রূপসা থানার ওসি সরদার মোশাররফ হোসেন বলেন, চলতি বছরের ৯ই মে পিতার মাথায় শিল দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে তানভীর।
পরে সহযোগী জুম্মানকে নিয়ে লাশ বাড়ির শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে। পরবর্তী সময়ে এনামুল হক কোথাও চলে গেছেন কিংবা পানিতে পড়ে মারা গেছেন বলে এলাকায় প্রচারণা চালায় তানভীর। এনামুল হক আগে থেকে মৃগী রোগী হওয়ায় স্থানীয়রা তার কথা বিশ্বাস করেন। বুধবার সকালে ছোট ভাই নাঈমকে মারধর করে তানভীর। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নাঈম পিতাকে হত্যার কথা সবাইকে জানিয়ে দেয়। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। নাঈমের তথ্য অনুযায়ী সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওসি সরদার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পর তানভীরকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করা হয়। এরপর তানভীর ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘাতক নিয়ামুল নিজের হাতে পিতাকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে। স্বীকারোক্তিতে নিয়ামুল জানায়, প্রায় ৭ মাস আগে আনুমানিক ২৬ রমজান রাতে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। রূপসা উপজেলার আইচগাতীর শোলপুর গ্রামে নিয়ামুল তার সহযোগী জুম্মানকে নিয়ে মসলা বাটার শিল দিয়ে মাথায় আঘাত করে পিতা এনামুল হককে হত্যা করে। পরে ওই রাতেই লাশ নিয়ামুল তাদের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের ভেতর ফেলে দেয়। নিহত এনামুল হক মৃগীরোগী ছিলেন। যে কারণে এলাকায় প্রচার হয় যে ভিকটিম মৃগী রোগে মারা গেছেন।
Development by: webnewsdesign.com