সিলেট বিশ্বনাথে দুই আ’লীগ নেতার অস্তিত্বের লড়াই!

বৃহস্পতিবার, ০৮ অক্টোবর ২০২০ | ৩:০৯ অপরাহ্ণ

সিলেট বিশ্বনাথে দুই আ’লীগ নেতার অস্তিত্বের লড়াই!
apps

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিজয় নিয়ে নামি-দামি দুই আ’লীগ নেতার অস্তিত্বের লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ দুই নেতার একজন হচ্ছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও সদ্য সাবেক জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী। অপরজন হচ্ছেন জেলা আ’লীগের সাবেক উপদেষ্ঠা পরিষদের সদস্য ও নৌকা প্রতীকে বিজয়ী বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া।

উভয় নেতার বাড়িই হচ্ছে এই ইউনিয়নে। কিন্তু তাদের নিজেদের ইউনিয়ন নির্বাচনে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর জন্যে নৌকার পরাজয় হতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। তাদের মতে দুই নেতার রাজনৈতিক জীবনেও অনেকটা অস্তিত্বের লড়াই হয়ে দাঁড়াবে।

জানাযায়, সীমানা নির্ধারণ জটিলতার কারনে প্রায় ১৭ বছর পর আগামী ২৯ অক্টোবর ওই ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গতমাসে তফসীল ঘোষণার পর চেয়ারম্যান পদে নৌকার দাবিদার হন ৫ জন আ’লীগ নেতা। তারা হচ্ছেন উপজেলা ও ইউনিয়ন আ’লীগের উপদেষ্ঠা পরিষদের সদস্য সামছু মিয়া লয়লুছ, উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি জবেদুর রহমান, আসাদুজ্জামান আসাদ, আ’লীগ নেতা আব্দুল মানিক ও আব্দুল তাহিদ।

অবশেষে ২৯ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ হল রুমে জেলা ও উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দের এক মতবিনিময় সভা শেষে ওই ৫ প্রর্থীদের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।নির্বাচনে স্থানীয় ইউনিয়ন আ’লীগের কমিটি থেকে ২০ জন ভোটারের ভোটের মাধ্যমে দলীয় মনোনীত প্রার্থী বাচাই করেন নেতৃবৃন্দ। এতে ৯ ভোট পেয়ে নির্বাচীত হন জবেদুর রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী সামছু মিয়া লয়লুছ ৬ ভোট পান।

আ’লীগের দলীয় প্রার্থী নির্বাচীত হওয়ার পর উপজেলা আ’লীগের সভাপতিসহ নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে ৪ অক্টোবর উপজেলা নির্বাচন অফিসে মনোনয়নপত্র ও দাখিল জবেদুর রহমান। একই দিনে সামছু মিয়া লয়লুছ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। উভয় প্রার্থীই মাঠে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তবে নৌকার প্রার্থী জবেদুর রহমান বলেন, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন আ’লীগসহ তৃনমূল সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সবাই আমার সাথে রয়েছেন। আর বিদ্রোহী প্রার্থীর বিষয়টা আমার দেখার বিষয় নয়, সেটি আমার সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ দেখবেন বলে জানান।বিদ্রোহীপ্রার্থী সামছু মিয়া লয়লুছ বলেন, তিনি দলীয় কোন সিদ্ধান্তে নয়, স্থানীয় ওয়ার্ডবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি প্রার্থী হয়েছেন।

জানতে চাইলে সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন- কেউ প্রার্থী হলে কিছুই করার নেই। তবে আমরা চেষ্ঠা করবো তাকে নির্বাচন থেকে সরানোর।

এদিকে, এস এম নুনু মিয়া বলেন, ওই নির্বাচনে আ’লীগের কোন বিদ্রোহী প্রার্থী হলে তার বিরুদ্ধে কটোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপার উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব পংকি খান বলেন- দল থেকে বিদ্রোহী কোন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

Development by: webnewsdesign.com