ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গেরুয়া বাহিনী ‘দেশবিরোধী’ মন্তব্য করার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) ছাত্র শারজিল ইমামকে গুলি করে হত্যার ডাক দিয়েছে।
শারজিল প্রসঙ্গে শনিবার বিজেপি বিধায়ক সঙ্গীত সোম বলেন, ‘যারা ভারত ভাঙার কথা বলে, তাদের প্রকাশ্যে গুলি করা উচিত।’ ২০১৩-র মুজাফফরনগরে ২০১৩-র হিংসার ঘটনায় একাধিক বার নাম জড়িয়েছে এই বিধায়কের।
এর আগে শুক্রবার শাহিন বাগ আন্দোলনের অন্যতম নেতা শরজিলের হাত কেটে নেয়ার হুমকি দিয়েছিল শিবসেনা। আসাম সরকারের মুখপাত্র হিমন্তবিশ্ব শর্মার দাবি, পিএফআইয়ের উস্কানিতে ১১ ও ১২ ডিসেম্বর গুয়াহাটিতে যে সিএএ-বিরোধী হিংসাত্মক আন্দোলন হয়েছে, তার পেছনে ছিল শারজিলের বক্তব্যের প্ররোচনা।
মোদির গেরুয়া বাহিনীর এই জাতীয় প্ররোচনার ফল দেখেছে দিল্লি। শাহিন বাগের অদূরে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এক যুবক প্রকাশ্যে, এমনকি ফেসবুক লাইভে এসে, ‘এই নে আজাদি’ বলে গুলি চালিয়েছে। শারজিলের একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তাকে বলতে দেখা গেছে, আসামে মুসলিম ও বাংলাভাষীদের ওপরে অত্যাচার
চলছে। ৬-৮ মাসের মধ্যে বাংলাভাষীদের খতম করে দেয়া হবে। তাই ‘চিকেন নেক’ (পশ্চিবঙ্গের সংকীর্ণ ভূখণ্ড, যা উত্তর-পূর্ব ভারতকে বাকি ভারতের সঙ্গে জুড়ে রেখেছে) বিচ্ছিন্ন করে, রেল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আসামকে বাকি দেশ থেকে আলাদা করে দেয়াটা আন্দোলনকারীদের দায়িত্ব।
গত ২৮ জানুয়ারি বিহারের জাহানাবাদ থেকে গ্রেফতারের পরে পাঁচ দিনের জন্য শারজিলকে হেফাজতে পেয়েছে দিল্লি পুলিশ। তার বিরুদ্ধে আসাম ছাড়াও মণিপুর ও অরুণাচল সরকারও বিভিন্ন ধারায় মামলা করেছে।
Development by: webnewsdesign.com