লিবিয়ায় সামরিক একাডেমিতে এক হামলায় কমপক্ষে ২৮ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার গভীর রাতে ওই হামলা চালানো হয়। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে জেনারেল খলিফা হাফতারের অনুসারী বিদ্রোহী বাহিনী এ হামলা চালাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হামলার ফুটেজে দেখা গেছে, মাটিতে মৃতদেহগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আমিন আল-হাশেমি বলেছেন, আকাশ থেকে চালানো হামলায় ত্রিপোলির সামরিক বিদ্যালয়ের ২৮ জন ক্যাডেট ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। হামলায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
শহরের অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের মুখপাত্র ওসামা আলী বলেছেন, তাৎক্ষণিকভাবে বেশ কিছু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের সহিংসতা আর বিভক্তিতে জর্জরিত হয়ে আছে লিবিয়া। গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে দেশটিতে সক্রিয় রয়েছে দুটি সরকার। এর মধ্যে রাজধানী ত্রিপোলি থেকে পরিচালিত সরকারকে সমর্থন দিয়েছে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বড় অংশ। আর দেশটির পূর্বাঞ্চল থেকে পরিচালিত জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন অপর সরকারটিকে সমর্থন দিচ্ছে মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, সৌদি আরব ও ফ্রান্স।
রাজধানী ত্রিপোলির দখল নিতে গত বছরের এপ্রিল থেকে অভিযান জোরালো করেছে হাফতার বাহিনী। সম্প্রতি তারা সর্বাত্মক অভিযান শুরুর ঘোষণা দিলে ত্রিপোলি ও আশপাশের এলাকায় বিমান ও গোলাবর্ষণ জোরালো হয়েছে।
সম্প্রতি লিবিয়ার গৃহযুদ্ধে সেনা মোতায়েন অনুমোদন দিয়ে একটি বিল পাস করেছে তুরস্কের পার্লামেন্ট। ফলে ত্রিপোলির সরকারি বাহিনীর পরামর্শক ও প্রশিক্ষক হিসেবে নন কমব্যাট (সরাসরি যুদ্ধে নিয়োজিত নয় এমন) সেনা মোতায়েন করতে পারবে তুরস্ক। আঙ্কারার এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে লিবিয়ার হাফতার বাহিনীর সমর্থক মিসর।
Development by: webnewsdesign.com