মা-বাবার সঙ্গে অভিমান করে নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কলেজছাত্রের আত্মহত্যা

মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ১০:২২ পূর্বাহ্ণ

মা-বাবার সঙ্গে অভিমান করে নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কলেজছাত্রের আত্মহত্যা
apps

মা-বাবার সাথে রাগ করে বাড়ি ত্যাগের পর নিউইয়র্ক সিটির হাডসন নদী থেকে লাশ উদ্ধার করা হয় বাংলাদেশি কলেজছাত্র আশফাকুল ইসলাম তৃপ্তি (১৮)’র। ২৮ সেপ্টেম্বর সোমবার জ্যাকসন হাইটস মসজিদে জানাজা শেষে দাফন করা হয় নিউজার্সি মুসলিম কবরস্থানে।

নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এবং বরিশাল সদরের সন্তান আরিফুল ইসলাম তুহিনের একমাত্র সন্তান তৃপ্তির অকাল মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে কমিউনিটিতে।

মহানগর বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা ২৮ সেপ্টেম্বর সোমবার অপরাহ্নে এ সংবাদদাতাকে জানান, তৃপ্তি পড়তেন নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে। তার মা আশুরা বেগম এবং বাবা তুহিন আমেরিকান স্বপ্ন পূরণের অভিপ্রায়ে পেনসিলভেনিয়া স্টেটের ফিলাডেলফিয়ায় একটি বাড়ি ক্রয়ের চেষ্টা করছিলেন। এ নিয়ে একমাত্র সন্তান তৃপ্তির সাথে মতদ্বৈততা দেখা দিয়েছিল। এক পর্যায়ে ১৩ সেপ্টেম্বর মা-বাবার সাথে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে তৃপ্তি জ্যাকসন হাইটস সংলগ্ন এলমহার্স্ট’র বাড়ি ছাড়েন। সেটিই ছিল তার শেষ যাত্রা। দুই-তিন দিনেও কোন সাড়া না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশে রিপোর্ট করা হয়। অবশেষে ২৬ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের পুলিশ তাদেরকে জানায় যে, হাডসন নদী থেকে একটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সেটি তাদের ছেলের কিনা। এ সময় লাশের একটি ছবিও পাঠানো হয়। তা দেখে মুষড়ে পড়েন মা ও বাবা। জানা গেছে, ঐ লাশটি নদী থেকে উদ্ধার করা হয় ১৫ সেপ্টেম্বর। অর্থাৎ তৃপ্তি বাড়ি ছাড়ার দুদিন পর। কিন্তু পুলিশের গড়িমসির কারণে ১০ দিন পর পুত্রের লাশের সন্ধান পেয়েছেন মা-বাবা। এ নিয়ে কমিউনিটিতে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

২০১০ সালে মা-বাবার সাথে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন তৃপ্তি। হাই স্কুল থেকে কৃতিত্বের সাথে গ্র্যাজুয়েশনের পর গত আগস্টে সে ভর্তি হয় নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে। ক্লাস শুরু হয়নি করোনার কারণে।

মামুলি ইস্যুতে মা-বাবার সাথে অভিমান করে পরিবারের একমাত্র সন্তান তৃপ্তির আত্মহত্যার সংবাদে সকলেই শোকে আচ্ছন্ন। তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন মহানগর বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক গোলাম ফারুক শাহীন, যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক দলের সভাপতি জাহাঙ্গির আলম প্রমুখ।

Development by: webnewsdesign.com