বরগুনায় কোভিড -১৯ সংক্রমণ রোধে জেলার ম্যাজিস্ট্রেট জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহর নির্দেশক্রমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।
রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩ টায় বরগুনা নদী বন্দর ও পৌরশহরের বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু বক্কর সিদ্দিক।
এসময়ে বরগুনা নদী বন্দরের পন্টুনে থাকা ঢাকাগামী পূবালী-(১) লঞ্চের খাবার হোটেল পরিদর্শন করা হয়। হোটেলের ফ্রিজে বাসি ও পচা মাছ রাখায় তা নদীতে ফেলে দোওয়া হয় এবং ভোক্তা অধিকার আইনে খাবার হোটেল মালিককে তিন হাজার টাকাও জরিমানা করা হয়েছে।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং পচা মাছ বিক্রি করার দায়ে হোটেল মালিককে নানাভাবে সতর্কও করা হয়েছে। এছাড়াও ঢাকাগামী লঞ্চের যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা এবং লঞ্চের সকল যাত্রীকে মাস্ক ব্যবহার করারও পরামর্শ দেওয়া হয়। তাছাড়া বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে যাত্রীদের জন্যে কোন লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা না থাকায় লঞ্চের সুপারভাইজার এনায়েত হোসেনকে হুঁশিয়ার করা হয়েছে যাতে পরবর্তীতে যাত্রীদের জন্যে লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা করা হয়।
পরে বরগুনা পৌর মার্কেট এলাকায় অনেক ওষুধের দোকানে অভিযান চালিয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ ও ভেজাল ওষুধ বিক্রির দায়ে ফার্মাসিস্টদের বিভিন্ন ধারায় অর্থদ- করেছেন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুবকর সিদ্দিক। সর্বমোট ১৪ হাজার টাকা বিভিন্ন ধারায় জরিমানা করা হয়েছে বলেও জানা যায়।
এসময়ে বরগুনার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ স্যারের নির্দেশক্রমে বরগুনা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে থাকা ঢাকাগামী পূবালী (১) লঞ্চে মনিটরিং করা হয়। লঞ্চের খাবার হোটেলে অস্বাস্থ্যকর ও পচা মাছ ফ্রিজে রাখার দায়ে হোটেল কর্তৃপক্ষকে ভোক্তাঅধিকার আইনে অর্থদ-ও করা হয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com