পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় অবরুদ্ধ শিক্ষকসহ ২ পরিবার

সোমবার, ১৯ অক্টোবর ২০২০ | ২:৫৮ অপরাহ্ণ

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় অবরুদ্ধ শিক্ষকসহ ২ পরিবার
apps

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বাড়ী প্রবেশের পথের জমির বিরোধের জের ধরে দীর্ঘ ১৫ বছরের চলাচলের ইট সোলিংয়ের রাস্তাটি বেড়া দিয়ে জোর পূর্বক দখলে নিল প্রতিপক্ষ শামছু ও তার দলবল। এ ঘটনায় শিক্ষক, ডাক্তারসহ দুই পরিবারের ১৬ সদস্য চলাচল করতে না পেরে গত দুদিন ধরে অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে। এতে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

ভুক্তভোগী পরিবার এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পূর্ব পাতাকাটা গ্রামের শামছু মুন্সীর সাথে একই বাড়ীর অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ইউসুফ হোসেনের চলাচলের পথ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ইউসুফ হোসেন তার বাড়ীতে প্রবেশের ১৫ বছর পূর্বের ইট সোলিংয়ের রাস্তা দিয়ে চলাচল করে আসছিল। এর জের ধরে গতকাল শনিবার সকালে প্রতিপক্ষ শামছু রাস্তার জমির পিতার কবর ও মালিকানা দাবী করে রাস্তার ইট তুলে জোর পূর্বক খুটি পুতে বেড়া দিয়ে দখল করে নেয়। এতে ওই পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।

ভুক্তভোগী ইউসুফ হোসেনের পুত্র কলেজ শিক্ষক জিয়াউল হক জানান, এ ঘটনার দুদিন আগে প্রতিপক্ষ শামছু নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করে ক্ষমতার দাপটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাড়ীর সীমানার বেড়া কেটে জমি দখলের চেষ্টা করে এবং শনিবার সকালে পুনরায় বাড়ীর চলাচলের পথ বেড়া দিয়ে আটকে দেয়।

রোববার সকালে সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানায়, এই পাকা রাস্তা দিয়ে ইউসুফের সাথে প্রতিপক্ষ শামছুও দীর্ঘদিন ধরে চলাচল করত। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে জমির মালাকানা দাবী করে ওই রাস্তায় বেড়া দিয়ে পথ অবরুদ্ধ করে রাখে যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন পথ আটকিয়ে বেড়া দেয়ার কথা স্বীকার করে জানান, এ বিষয়ে দুপক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে শালিস বৈঠকে বসে দুই পক্ষের বিরোধ মিটানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

প্রতিপক্ষ শামছুল হক মুন্সী তার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই জমি তার রেকর্ডীয় সম্পত্তি এবং তার পিতা নুর উদ্দিন মুন্সীর কবর থাকায় বেড়া দিয়ে আটকানো হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।

মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আ.জ.ম মাসুদুজ্জামান মিলু জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত পূর্বক পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Development by: webnewsdesign.com