সিলেট নগরীতে ইয়াবা ও গাড়ীর চোর সিন্ডিকেটের ইয়াবা বাপ্পী উরফে সৈয়দ বাপ্পী আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তার মাদক ব্যবসার পাশাপাশি সিলেটের মধ্যে গাড়ি চুরির এক বিশাল সিন্ডিকেটও রয়েছে । শুধু তাই নয় ইয়াবা বাপ্পী উরফে সৈয়দ বাপ্পী নগরীতে ভারতীয় পণ্যের অবৈধ ব্যবসার সাথেও সক্রিয় রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেট নগরীর এয়ারপোর্ট থানার মজুমদারী এলাকার তরঙ্গ ৬/৯-এর সিএনজি চালক জুবায়ের আলীর ছেলে ইয়াবা বাপ্পী। তার বিরুদ্ধে ইয়াবা সেবন ও বিক্রি করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু তার প্রতি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারী থাকলেও তার নির্দিষ্ট কোনো ঠিকানায় বসত করে না বলে অনুসন্ধানে জানা যায়। ইয়াবা বাপ্পী তার মাদক ব্যবসার পাশাপাশি সিলেটের মধ্যে রয়েছে গাড়ি চুরির এক বিশাল সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের মধ্য দিয়ে তার নেতৃত্বে মোটর সাইকেল, সিএনজি, প্রাইভেট কার, ও দামি দামি ব্র্যান্ডের গাড়ি অহরহ চুরি হয়ে আসছে। আর এটা সে করছে আইন শৃংঙ্খলা এই সাম্রাজ্য ইয়াবা বাপ্পী নিরবে পরিচালনা করে যাচ্ছে। তার পরিচালনায় চলছে সিলেটে অপরাধের রাজ্য। এসব অপরাধে বেশিরভাগই ইয়াবা বাপ্পী থাকে ধরাছোয়ার বাইরে। শুধু তাই নয়, ভারত থেকে কসমেটিক্সসহ বিভিন্ন ধরনের চোরাচালানের ব্যবসা করে আসছে বাপ্পী।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ইয়াবা বাপ্পীর ভারতীয় চোরাচালান নিয়ে অনেক নিরীহ লোক জেল হাজতে আছে। ইয়াবা বাপ্পীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। এর মধ্যে জালালবাদ থানায় গাড়ি চুরির মামলা নং- ২, ধারা- ৩৭৯/৪১১ দন্ডবিধি ৩৪। এই মামলা হলো একটি নিরীহ লোকের সিএনজি গাড়ি চুরির মামলা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ইয়াবা বাপ্পী ও তার কয়েকজন সহযোগী মিলে প্রথমে গাড়িটি জালালাবাদ থানাধীন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে ভাড়া নেন। তারপর গাড়ির চালককে নিয়ে সিলেট এয়ারপোর্ট থানাধীন লাক্কাতুড়া চা বাগানে নিয়ে গিয়ে চালককে হাত-পা ও মুখ বেঁধে চালককে বাগানে ফেলে গাড়িটি নিয়ে চলে যান ইয়াবা বাপ্পী ও তার সহযোগিরা। তারপর গাড়িটা নিয়ে গিয়ে ইয়াবা বাপ্পী দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকার লাউয়াইয়ে একটি ওয়ার্কশপে রাখেন এবং সেখানে গাড়ির ইঞ্জিন নাম্বার ও চেসিস নাম্বার বদল করে একটি মনগড়া নাম্বার বসিয়ে সেই গাড়ি অন্য আরেক জায়গায় বিক্রি করে দেন। পরে মামলা হওয়ার পর জালালবাদা থানার এস.আই আতিক আহমেদ অনেক পরিশ্রম করে গাড়িটি ইয়াবা বাপ্পীর কাছ থেকে উদ্ধার করেন। পরে এই মামলায় ইয়াবা বাপ্পীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়। জেল থেকে জামিনে বেরিয়েই ইয়াবা বাপ্পী আবারও গাড়ি চুরিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেন এবং মামলা বাদি মো. আশিক মিয়াকে নানা হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন। তবু বাদি আশিক মিয়া এক চোরের হুমকি ধমকিকে পরোয়া না করে মামলা পরিচালনা করেই যাচ্ছেন।
ইয়াবা বাপ্পী ইদানিং নতুন একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে তার একটি ফেসবুক পেইজ। এই ফেসবুক পেইজে গাড়ির মালিক ও তার মামলার বাদিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন খারাপ স্ট্যাটাসও দেন। এমনকি তার ইয়াবা ব্যবসা ও গাড়ি চুরির এবং চোরাচালের বিরুদ্ধে যে কথা বলেন কিংবা এসবের খবর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকের কাছে পৌঁছে দেন সে এইসব লোকের বিরুদ্ধেও ফেসবুক পেইজে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যাচার করে লেখালেখি করেন।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সমাজের সুশীল মানুষের দাবি, এরকম ইয়াবা বাপ্পী যেন সমাজে যেন আর তৈরি না হয় এ ব্যাপারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যেন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এছাড়া বিভিন্ন লোকজনের অভিযোগ ইয়াবা বাপ্পী উরফে সৈয়দ বাপ্পীর এই অবৈধ কার্যাকলাপের প্রতি অদিষ্ট।
এসব অবৈধ কার্যকলাপের জন্য ইয়াবা বাপ্পী উরফে সৈয়দ বাপ্পীর পিতা সিএনজি চালক জুবায়ের সমাজ ধ্বংসমূলক কার্যকলাপের জন্য তার ছেলেকে ২০১৪ সালে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এর পর থেকে ইয়াবা বাপ্পী বিভিন্ন কলোনীতে বসবাস করে এবং কখনো হোটেলে থেকে সে এসব অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
Development by: webnewsdesign.com