রাজধানীর ঢাকার ৫০টিসহ সারা দেশে মোট এক হাজার ৫টি হাসপাতালে একযোগে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হচ্ছে। রাজধানীর ৫০টি হাসপাতালের জন্য ২০৪টিসহ এবং সারা দেশে ২ হাজার ৪০০টি টিম এই টিকাদানে কাজ করবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
অধিদফতরের দেয়া তথ্যানুযায়ী, এখন পর্যন্ত সারা দেশে করোনা টিকা গ্রহণের লক্ষ্যে ৩ লাখ ২৮ হাজারের বেশি মানুষ ‘সুরক্ষা’ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধন করেছেন।
প্রতিটি টিকাদান কেন্দ্রে সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ২.৩০ মিনিট পর্যন্ত হাসপাতালের বহির্বিভাগে টিকা নিতে পারবেন নিবন্ধিতরা। সারা দেশে শুরু হওয়া টিকাদান কার্যক্রমের প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্ট স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এদিকে রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) যাঁরা টিকা নেবেন, তাঁদের কাছে আজ শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলের মধ্যে মুঠোফোনে খুদে বার্তা পৌঁছে যাবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের পরিচালক মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, টিকা গ্রহণে নিবন্ধিতদের তালিকা প্রতিটা টিকাদান কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে কে কবে টিকা গ্রহণ করবেন তা কেন্দ্রই নির্ধারণ করবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান জানিয়েছিলেন, প্রথম দফায় ৩৫ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হবে। আর এজন্য সরকারের হাতে রয়েছে ৭০ লাখ টিকা।
সারা দেশে জাতীয়ভাবে শুরু হওয়া টিকাদান কার্যক্রমের প্রথম দিনই অর্থাৎ রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এদিন তিনি রাজধানীর গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে এই টিকা গ্রহণ করবেন বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন।
এসময তিনি জানান, সারা দেশে ৭ ফেব্রুয়ারি একযোগে ভ্যাকসিন নেওয়া শুরু হবে। প্রতিটি জেলায়, কিছু কিছু উপজেলাতেও পর্যায়ক্রমে যাবে টিকা। ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য সব সরঞ্জামসহ ভ্যাকসিন সব জায়গাতে পৌঁছে গেছে। কর্মীরা প্রস্তুত, তাদের প্রশিক্ষণ শেষ। উপজেলা প্রশাসনসহ জেলা প্রসাশনকে এই বিষয়ে সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে।’
Development by: webnewsdesign.com