সন্তানকে মনের মতো করে মানুষ করে তুলতে সব মা বাবা চান। সবার মনেই ইচ্ছা থাকে তাদের সন্তান হয়ে উঠুক সমাজের এক আদর্শ সদস্য, সবাই চান যে সব দিক থেকে অন্যদের চেয়ে সেরা হোক তাদের সন্তান। এক্ষেত্রে চেষ্টার কোন ত্রুটি রাখেন না বাবা-মা।
প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি চলতে থাকে তার অন্য প্রতিভাগুলো বিকাশের চেষ্টা। কিন্তু সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে মা-বাবার কিছু অসতর্ক মুহূর্তে বলা কথার জন্য। এতে করে সন্তানের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে দেয়, তার উপযুক্ত বিকাশের পথে তৈরি করে প্রতিবন্ধকতা। তাই সন্তানের ভালোর জন্য তার সামনে কোন কোন কথা বলা একেবারেই উচিৎ হবে না, নজর রাখা যাক সে বিষয়ে।
স্পয়েলড:
এটা খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার যে সন্তান চলতে চাইবে নিজের মর্জিমাফিক। যতই তার ভালোর জন্য হোক না কেন, মা-বাবার সব কথা সে শুনতে চাইবে না। এমনটা হলে সামান্য বকাঝকা করা যেতে পারে। কিন্তু কথায় কথায় সে কতটা স্পয়েলড বা বখাটে, সেটা উল্লেখ করা চলবে না। তা হলে তার মনে ওই ধারণাই বদ্ধমূল হয়ে থাকবে সারা জীবনের জন্য, নিজেকে শুধরে নেওয়ার চেষ্টা সে ছেড়ে দেবে।
স্মার্ট:
সন্তানের সামনে ঘন ঘন তার নিন্দে করা যেমন সমস্যা ডেকে আনতে পারে, তেমনই অসুবিধা তৈরি করতে পারে প্রশংসাও। তাই সন্তান কতটা স্মার্ট বা চৌকস, সেটাও তার সামনে না বলাই ভালো। না হলে তার মনে নিজেকে নিয়ে অনর্থক ভুল ধারণা তৈরি হবে।
প্রিন্স বা প্রিন্সেস:
এ সব শব্দও সন্তানের প্রশংসা করে তাকে না বলাটাই উচিৎ হবে। এতে তার মনে সুপিরিওরিটি কমপ্লেক্স জন্ম তো নেবেই! পাশাপাশি অন্য কেউ তার চেয়ে কোনও বিষয়ে এগিয়ে থাকলে সেখান থেকে জন্ম নেবে ঈর্ষা বা হীনম্মন্যতা। মোট কথা, কোনও প্রতিযোগিতাকে আর স্বাভাবিক ভাবে নিতে শিখবে না সে।
বোকা:
সন্তানের কোনও কিছু বুঝতে সময় লাগতেই পারে। এ ক্ষেত্রে ধৈর্য ধরে তাকে বুঝিয়ে যেতে হবে, সে যত সময়ই লাগুক না কেন। তাকে বোকা বললে সেটা তার মনে হীনম্মন্যতার জন্ম দেবে।
Development by: webnewsdesign.com