সম্পূরক শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ফাঁকির অভিযোগে পৌনে ৩ কোটি টাকার জর্দা জব্দ করেছে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের প্রিভেন্টিভ দল।
মিরসরাই উপজেলার হিঙ্গুলীর আবছার ট্রেডার্সের একটি গুদামে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এসব জর্দা আটক করা হয়। এরপর জর্দা ভর্তি কার্টনগুলো নগরের সদরঘাট থানার পুরাতন কাস্টম এলাকায় ভ্যাট কমিশনারেটের গুদামে নিয়ে আসা হয়েছে।
এ ঘটনায় বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ৬১(৬) অনুযায়ী অনিয়ম/কর ফাঁকির মামলা (নম্বর-০২/২০২০) দায়ের করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হক বাংলানিউজকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালিয়ে ২৫৮ কার্টন ঢাকার কাউছ কেমিক্যাল ওয়ার্কসের তৈরি ‘হাকীমপুরী’ জর্দা পাই। এর মধ্যে ৫০ গ্রামের ২১৬ কৌটার ১০০ কার্টন এবং ২৭৬ কৌটার ১৫৮ কার্টন জর্দা রয়েছে। যার মোট ওজন ৩ হাজার ২৬০ দশমিক ৪০ কেজি। এসব জর্দার ক্রয়মূল্য ৯৭ লাখ ৮১ হাজার ২০০ টাকা। এর সঙ্গে ভ্যাট হিসেবে ৩৬ লাখ ৬৭ হাজার ৯৫০ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক হিসেবে ১ কোটি ৮৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৫০ টাকা মিলে চালানটির মূল্য দাঁড়ায় পৌনে ৩ কোটি টাকার বেশি।
তিনি জানান, আটকের সময় প্রতিষ্ঠানের মালিককে পাওয়া যায়নি। তবে কর্মচারী মো. সুমন মজুমদার চালানের স্বপক্ষে কিছু ট্রাক চালান (ডেলিভারি চালান) ছাড়া মূসক ও সম্পূরক শুল্ক পরিশোধ সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তাই মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ৬০ (৩) ও বিধি ৮৪ অনুযায়ী ‘ক্রোক ও জব্দ তালিকা, মূসক ১২.৩’ মূলে জব্দ করে আনা হয়।
প্রয়োজনীয় তদন্ত ও প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জব্দ করা জর্দা আইন অনুযায়ী নিলামে বিক্রি করে ওই টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বিক্রি করা হবে।
Development by: webnewsdesign.com