টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার পর বাংলাদেশের এমন শুরু! ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে তামিম ইকবাল–নাঈম হাসান শুরু করলেন ওয়ানডের মেজাজে। পাওয়ার প্লেতে ৫.৮৩ রান রেটে বাংলাদেশ তুলতে পারল ৩৫। ১৫ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৩ উইকেটে ১০০ রান।
এবারের বিপিএলে তামিম যেভাবে ব্যাটিং করেছেন, লাহোরে আজ টি–টোয়েন্টি সিরিজেও সেটিরই পুনরাবৃত্তি করলেন। সেই ধীর–লয়ে শুরু। স্ট্রাইকরেট কখনো কখনো ৫০–এর নিচে চলে আসা। কিন্তু বিপিএলে তাঁর অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যান অন্তত ঝুঁকি নিতেন। আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে তামিমের উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী মোহাম্মদ নাঈম সেই ঝুঁকিটাও নিলেন না। দুজন এগোতে থাকলেন স্বভাববিরুদ্ধ ধীর গতিতে। কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৬২ রান এলেও সেটি মোটেও টি–টোয়েন্টিসুলভ হয়নি। উইকেট যেহেতু ব্যাটিং–সহায়ক, সে হিসেবে বাংলাদেশের দুই ওপেনারের খেলার ধরন আরও বেশি চোখে লেগেছে।
অবশ্য এই ধীরগতিতে ব্যাটিং করেও একটি রেকর্ডে নাম তুলেছেন তামিম–নাঈম। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম কোনো ওপেনিং জুটি ৫০ পেরোলো। তা–ই নয়, দুজন এগোচ্ছিলেন আরেকটি রেকর্ড গড়তে। টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ ৭৪ রান এসেছে। ২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৫ বলে ৭৪ রানের জুটি গড়েছিল তামিম–লিটন দাসের ওপেনিং জুটি।
আজ তামিম–নাঈমের জুটি থেমেছে ৭১ রানে (৬৬ বলে)। শাদাব খানকে ডিপ স্কয়ারে ঠেলে দুই রান নিতে গিয়ে তামিম রানআউট হয়েছেন ৩৪ বলে ৩৯ রান করে। অভিজ্ঞ বাঁহাতি ওপেনার ফেরার পরও যে বাংলাদেশের রানের গতি বেড়েছে, তা নয়। ১৪.৩ ওভারে রানআউটের শিকার লিটন দাসও। এক বল পর বিদায় নাঈমও (৪৩)। ইনিংসের প্রায় শেষ দিকে এসেও ৬.৭৫ রানরেট এগোনো বাংলাদেশ পাকিস্তানের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি ১৪১ রানে ইনিংস শেষ হয় বাংলাদেশের।
Development by: webnewsdesign.com