বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক আইন অনুযায়ী, কোনো সড়ক বা মহাসড়কের ৩০ ফুটের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু সে আইন যে সব ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না, তা বোঝা যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড়ে সড়ক ও জনপথের (সওজ) জায়গায় অবৈধ স্থাপনা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড গড়ে তোলার ঘটনায়।
আজ বৃহস্পতিবার ( ৩ ফেব্রুয়ারী ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। সড়ক বিভাগ বলছে শিগগিরই এসব অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।
ঢাকা সিলেট মহাসড়ক এন টু,আন্তঃজেলা মহাসড়ক এন ১২ খাঁটিহাতা বিশ্বরোড় মোড় অবৈধ স্থাপনা ও সিএনজি স্ট্যান্ড এর যানযট দুর্ঘটনার কারণ। এসব অবৈধ স্থাপনার কারণে সড়ক দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে। যানজট সৃষ্টির পাশাপাশি প্রায়ই ঘটছে নানা ধরনের দুর্ঘটনা।
সড়কের দুই পাশ দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। এছাড়া যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং আর অবৈধভাবে সিএনজি চালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড বসানো হয়েছে। এতে মহাসড়কে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল, তৈরি হচ্ছে যানজট। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্বরোড সারাদেশের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই পয়েন্ট হয়ে যেতে হয়। যে কারণে প্রতিদিন এখানে কয়েকশ’ গণপরিবহণের যাত্রী উঠা নামা করে। গণপরিবহণে পাশাপাশি এখানে রয়েছে সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এই পয়েন্টে চারপাশ দখলে নিয়েছেন অবৈধ দখলদাররা।
চ্যাপ্টা ঘর বানিয়ে বসিয়েছেন বিভিন্ন খাবার হোটেল, ফল ও চা দোকান। কোন কোন দোকানী আবার নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের পণ্যগুলো বাহিরে রাখার কারণে দূর্ভোগ বেড়ে যায় আরও কয়েকগুণ। এছাড়া এই পয়েন্টে রয়েছে চারটি সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড। যেখানে প্রতিদিন কয়েকশ’ অটোরিকশা যাত্রী ওঠানামা করে এবং পার্কিং করে রাখে।
অপরদিকে মহাসড়কের দুইপাশ দখল করে বসছে অস্থায়ী বাজার। ছোট ছোট চ্যাপ্টা ঘর নির্মাণ করে দোকানপাট বসিয়েছেন অন্তত দুই শতাধিক ব্যক্তি। পাশাপাশি গড়ে উঠেছে সিএনজি অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যাত্রীবাহী গাড়ির স্ট্যান্ড।
নাসিরনগরে এক পথচারী আমিন বলেন, প্রতিদিন এখানে শতশত সিএনজি দাড়িয়ে থাকে। এতে আমাদের অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই দ্রুত এসব অবৈধ গাড়ির স্ট্যান্ড এখান থেকে উচ্ছেদ করা দরকার।
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক জনৈক ব্যক্তি জানান, অবৈধ স্থাপনা দোকান পাট হইতে ৬০-৩৫০ টাকা প্রতিদিন দোকান ভাড়া তুলেন।খাঁটিহাতা মোড়ে উত্তর পশ্চিম কর্ণারে সড়কের উপর অবৈধ আঁটো রিক্সার স্ট্যান্ড থাকায় হচ্ছে চাঁদাবাজি ও যানযট যাহা দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ফারুক বলেন, সড়ক বিভাগ এর আগেও কয়েকবার উচ্ছেদ করছে। কিন্তু কিছুদিন গেলেই আবারও অবৈধ দোকানপাট বসে যায়। তাই সরকারকে আর কঠোর হওয়া উচিৎ, যেন একবার উচ্ছেদের পর আবার নতুন করে কেউ বসতে না পারে।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহজালাল আলম জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের অবৈধ স্থাপনা প্রায়ই উচ্ছেদ করা হচ্ছে। তবে এগুলো আবারও বসে যাচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী পঙ্কজ বণিক প্রতিনিধিকে জানান, গত বছরে আমরা বিশ্বরোড ও সহিলপুর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে, এবারও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
Development by: webnewsdesign.com