২ মার্চ থেকে সিলেটে বন্ধ হচ্ছে ইন্টারনেট সেবা, সচল হচ্ছে কবে?

বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ৬:০২ অপরাহ্ণ

২ মার্চ থেকে সিলেটে বন্ধ হচ্ছে ইন্টারনেট সেবা, সচল হচ্ছে কবে?
apps

আর মাত্র ছয় দিন পর সিলেট নগরীতে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
গত শনিবারে জারি করা সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক আগামী ২ মার্চ নগরীর ইন্টারনেটসহ সকল তার কেটে ফেলা হবে। সাথে সাথে বন্ধ হয়ে যাবে ইন্টারন্টে সেবা। আর এটি হলে চরম বিপাকে পড়বেন হাজার হাজার গ্রাহক। বন্ধ হয়ে যাবে,পত্রপত্রিকা,অনলাইন গণমাধ্যম, ব্যাংক-বীমাসহ সরকারী ও বেসরকারী অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম।
বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচারের পর সংশ্লিষ্ট সকল এখনও গভীর ঘুমে। তাদের কোন তৎপরতা নজরে আসছে না।
এদিকে মার্চে আছে ‘মুজিব শতবর্ষ’ পালনের নানা কর্মসূচি। ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে গেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে অতি গুরুত্বপূর্ণ এই অনুষ্ঠান পালনে নানা ক্ষেত্রে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে।

সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) এর বরাতে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বিউবো এর বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আম্বরখানা ইলেকট্রিক সাপ্লাই থেকে চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার ও সিটি পয়েন্ট হয়ে সিলেট সার্কিট হাউস পর্যন্ত, চৌহাট্টা পয়েন্ট থেকে রিকাবীবাজার হয়ে নবাব রোডস্থ বিউবোর বাগবাড়ি কার্যালয়, পূর্ব জিন্দাবাজার থেকে জেলরোড পয়েন্ট পর্যন্ত রাস্তার উভয় পার্শ্বে ওভারহেড বৈদ্যুতিক তারসমূহ ভূগর্ভে স্থানান্তরের কাজ শেষ হয়েছে।উল্লেখিত এলাকাসমূহে স্থাপিত সকল বৈদ্যুতিক খুঁটি এবং ওভারহেড তারসমূহ বিউবো কর্তৃক অপসারণ করা হবে। বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণ করার ফলে খুঁটিসমূহে স্থাপিত ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের (আইএসপি) ক্যাবলসমূহও অপসারিত হবে। যার ফলে ইন্টারনেট সংযোগ বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উক্ত বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) এবং আইএসপি এর সাথে কয়েক দফা সভা করে কোন সমাধানে পৌঁছানো যায়নি। এ ব্যাপারে আইনগতভাবে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কোন দায়-দায়িত্ব নেই বিধায় আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে আইএসপিগণকে এনটিটিএন কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানানো গেল। অন্যথায় অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্টরা দায়ী থাকবেন।’

অন্যদিকে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) অ্যাসোসিয়েশন বলছে, ‘বিটিআরসি আমাদের অভিভাবক, তারা লাইসেন্স দেয়। তাদের নিয়ম অনুসারে, আমরা মাটির নিচে ক্যাবল নিতে পারি না। একমাত্র যারা এনটিটিএন লাইসেন্সপ্রাপ্ত, তারাই এটা পারে। সরকারি বিটিসিএল, এনটিটিএন লাইসেন্সধারী সামিট আর ফাইবার অ্যাটম ক্যাবল মাটির নিচে নেওয়ার সুযোগ পায়।’
তাছাড়া এই সময়ের মধ্যে এই কাজ কারো পক্ষেই করা সম্ভব নয়। সিসিককে দেয়া বিকল্প প্রস্তাব হিসেবে ‘ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) অ্যাসোসিয়েশন’ বলেছিলো-স্ট্রিট লাইটের খুঁটির মধ্য দিয়ে সব সার্ভিস প্রোভাইডারের ক্যাবল ‘একটি ক্যাবলে’ রূপান্তর করে নিয়ে যাবো। এতে কোনো ক্যাবল ঝুলে থাকবে না। আর সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য রাতে ক্যাবলে এলইডি বাতি জ্বালানোর ব্যবস্থা থাকবে। এ প্রস্তাবে মেয়র সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কোনো ধরনের ক্যাবলই মাটির উপরে রাখা যাবে না।’

বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ নগরবাসী, তারা বলছেন, তার বিহীন নগরী হোক এটা তারা চান, তবে সবকিছু করতে হবে সমন্বয়ের মাধ্যমে। তারা বলছেন ইন্টারনেট সেবার বিকল্প ব্যবস্থা করার আগ পর্যন্ত কোন অবস্থায় তার কেটে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলে এটা তারা মেনে নিবে না। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সিলেট সিটি কর্পোরেশন দায়ী থাকবেন।

বিষয়টি নিয়ে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Development by: webnewsdesign.com